শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলের সেরা আবিষ্কার নিঃসন্দেহে মায়াঙ্ক যাদব।লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সী এই পেসার ইতিমধ্যেই দুটি ম্যাচ খেলেছেন। আর দুটি ম্যাচ খেলেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তাঁর আগুনে গতি চোখ কেড়েছে সকলের। অভিষেক ম্যাচ এবং তার পরের ম্যাচেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়ে নয়া নজিরও গড়েছেন তিনি। এতটাই তাঁর বলের গতি যে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও তাঁকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। সাধারণত পেস সহায়ক উইকেটে খেলেই বেড়ে ওঠা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরুন গ্রিনদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেছেন মায়াঙ্ক যাদব। এমন অবস্থায় কী করে এই স্পিডস্টারের গতির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তার উপায় এবার বাতলে দিয়েছেন দুই তারকা অজি ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন… ISL 2023-24: ৯ জনের কেরালাকে হারিয়ে ফের প্লে-অফের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করল ইস্টবেঙ্গল
যাদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। আর অপরজন এখনও খেলে যাচ্ছেন চুটিয়ে। এই দুই তারকা অজি ক্রিকেটার হলেন ম্যাথু হেডেন এবং স্টিভ স্মিথ। এই দুই তারকা ভারতে চলতি আইপিএলে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। হেডেনের মতে এমন আগুনে গতিকে খেলার উপায় হল বলকে ব্যাটে আসতে দিতে হয়। তারপর শট খেলতে হয়। এমন গতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে উইকেটের যে দিকেই শট মারতে যাবেন ব্যাটাররা সেই দিকেই অসুবিধাতে পড়বেন। উল্লেখ্য গত কাল রাতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির বিরুদ্ধে গড়ে ১৫০-১৫৫ কিমি প্রতি ঘন্টায় বোলিং করেছেন মায়াঙ্ক। তাঁর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৫৬.৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। যা চলতি মরশুমের সবথেকে গতিময় বল।
আরও পড়ুন… IPL 2024 DC vs KKR: এক মরশুমে দু'বার হল ২৫০+ রান! IPL এর ইতিহাসে এমনটা এই প্রথমবার ঘটল
স্টার স্পোর্টসের লাইভ শো'তে হেডেন জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টের (আইপিএল) সবথেকে বড় সুবিধা হল ক্রিকেটের যারা বিশেষজ্ঞ অথবা তারকা তারা সবাই এই টুর্নামেন্ট দেখেন। ফলে এখানে ভালো পারফরম্যান্স করলে তা সবার চোখে পড়বেই। সবাই কিন্তু স্ট্র্যাটেজি ঠিক করেই মাঠে নামছে যে ওঁকে কীভাবে খেলতে হবে। তারপরেও ওঁর (মায়াঙ্কের) এমন সাফল। কিন্তু দারুণ বিষয়, লেন্থে যদি জোরে বল করে তাহলে তাকে মারা কঠিন হয় সব সময়ে। এই ধরনের পেসকে মোকাবিলা করতে গেলে তোমাকে একটাই উপায়ে খেলতে হবে। আর তা হল বলকে ব্যাটের কাছে আসতে দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে হবে না। তারপর বলকে মারতে হবে। এই ধরনের গতির বলের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার করে উইকেটের দুইধারে খেলতে গেলেই সমস্যা বাড়বে। চাপটা নিতে হবে। এই ভাবে খেলতে থাকলে বলের গতিকে বোঝাটাও সহজ হয়ে যাবে। ফলে পরবর্তীতে গতিমান বল খেলতে সমস্যা হবে না।’
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে স্মিথ যোগ করে বলেন, ‘আমার মনে হয় না ও (মায়াঙ্ক) একটাও স্লোয়ার বল করেছে। এই গতিকে কাজে লাগাতে হবে। উইকেটের পিছনে যতটা সম্ভব রান করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই বোলারও তখন অন্য কিছু করার চেষ্টা করবে। যখন গতিতে বল আসছে তখন চিন্নাস্বামীর মতন স্টেডিয়ামে ঠিকঠাক ব্যাটে বলে করতে পারলেই রান আসবে। তাই আমি বলব ওঁর গতিকে ব্যবহার কর। তাহলেই সমস্যা কমবে দলগুলোর।’