খেলাধুলোর সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখলেও সঞ্জীব গোয়েঙ্কা আসলে পোড়খাওয়া ব্যবসায়ী। কীভাবে ‘ডিল ডান’ করতে হয়, ভালো মতোই জানেন তিনি। প্রাক্তন অজি তারকা তথা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে যেভাবে নিজের আইপিএল দল লখনউ সুপার জায়ান্টসের হেড কোচ হতে রাজি করান গোয়েঙ্কা, তাতেই প্রমাণিত হয় তাঁর ব্যবসায়িক দক্ষতা। তিনি কেন এত সফল শিল্পপতি, সেটা টের পান প্রাক্তন অজি তারকা।
টানা ২ বছর লখনউ সুপার জায়ান্টসের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন তারকা অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। তবে আসন্ন মরশুমে তাঁকে দেখা যাবে আরসিবি শিবিরে। গৌতম গম্ভীরও লখনউ মেন্টরের দায়িত্ব ছেড়ে ফিরে আসেন নিজের পুরনো আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সে।
গম্ভীর লখনউয়ের দায়িত্ব ছাড়ার পরে ল্যাঙ্গারকে সুপার জায়ান্টসের হেড কোচ নিযুক্ত করা হয়। লখনউয়ের হয়ে আইপিএল ২০২৪-এর নিলামের টেবিলেও হাজির ছিলেন ল্যাঙ্গার। অজি তারকা এবার নিজেই জানালেন, কীভাবে তাঁর সামনে লখনউয়ের হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, এবং কীভাবে তাঁকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে রাজি করানো হয় প্রস্তাব গ্রহণে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিয়োয় ল্যাঙ্গার বলেন, ‘এটা দারুণ মজাদার ছিল। আমি পারথে ছিলাম। আমার কাছে একটা মেজেস আসে এটা জানতে চেয়ে যে, আইপিএলে কোচিং করানোর আমার আগ্রহ আছে কিনা। বিনয় (লখনউ ম্যানেজমেন্টের এক প্রতিনিধি) আমাকে বলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা লন্ডনে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কফির আড্ডায় কিছুটা সময় কাটাতে আমার অসুবিধা আছে কিনা। আমি ভাবি যে, এতে আমার কী আর যায় আসে। কোনও ক্ষতি তো নেই। তাই ঠিক করি লন্ডনে গিয়ে এলএসজি বসের সঙ্গে দেখা করব।’
ল্যাঙ্গার আরও যোগ করেন, ‘আমাদের মধ্যে দারুণ কথাবার্তা হয়। উনি আমাকে শেষ যে কথাটা বলেন, তাতেই বুঝতে পারি যে, উনি দারুণ ব্যবসায়ী। উনি বলেন, ‘জাস্টিন, তোমার ক্রিকেট কেরিয়ার অসাধারণ। এখনও পর্যন্ত তোমার কোচিং কেরিয়ারও দারুণ। তবে তুমি নিজেকে মহান কোচ হিসেবে বিবেচনা করতে পারবে না, যতক্ষণ না আইপিএল জিতছো। আমি মনে মনে বলি যে, ওহ, যথার্থ সেলসম্যান স্কিল। চ্যালেঞ্জটা আমার পছন্দ হয়েছে বস।’
ল্যাঙ্গার শেষে বলেন যে, ‘তার পরেও আমাদের বেশ কিছু কথাবার্তা হয়। আমাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা চলতে থাকে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হেড কোচ হতে পেরে আমি রীতিমতো রোমাঞ্চিত।’