সোমবারের বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দেখা গেল ক্রিকেটের ডেথ ওভারের নতুন রাজাকে। হ্যা যেভাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জয়কে সহজ করে দিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক, তাতে সকলেই তাঁকে এখন টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের ডেথ ওভারের রাজা বলেই ডাকছেন। আসলে এদিন পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে যখন RCB রান তাড়া করছিল, তখন হঠাৎই বিরাট কোহলি আউট হয়ে যেতে চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু টিম। সেই সময়ে বিরাটদের জয়টা বেশ কঠিন মনে করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন… IPL 2024: আমার নাম ভাঙিয়ে বিশ্বের বহু জায়গায় T20-র প্রচার চলছে- কাকে কথা শোনালেন বিরাট
তবে ক্রিজে আসেন দীনেশ কার্তিক। শেষ মুহূর্তে দীনেশ কার্তিক এগিয়ে আসেন এবং বড় বড় শট মেরে দলের জয়কে সহজ করেন। সেই সঙ্গে দীনেশ কার্তিক হয়ে উঠেন ডেথ ওভারের নতুন রাজা। তিনি ২০২২ সাল থেকে ডেথ ওভারে ২০৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৭২ রান করেছেন। তিনি পিছিয়ে আছেন শুধু শিমরন হেটমায়ারের (৩৮৩ রান) থেকে। এর পর আছেন রিঙ্কু সিং (৩৫১), টিম ডেভিড (২৯০) এবং ডেভিড মিলারের (২৮৫) নাম।
এদিন পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দীনেশ কার্তিক বলেন, ‘কিছুটা ধুলো পড়েছিল। আজকের ইনিংসটা পুরোপুরি আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি সেটাই ভালো হয়েছে।’ কার্তিক স্বীকার করেছিল যে এমন ইনিংস খেলাটা তাদের জন্য দরকার ছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা দরকার ছিল (লোমরর ইনিংস), অনুজ গতবার ভালো ব্যাটিং করেছিল কিন্তু যখন মহিপাল মাঠে আসেন... তখন তিনি আমার চাপটাকে অনেকটা কম করে দিয়েছিলেন।’ অন্যদিকে, হার্ষালের বোলিং সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যে, ‘হার্ষাল একজন চালাক বোলার। সেই সময়ে শট মিস করা মানে হল উইকেট হারানোর সমান। আমি অনেক দিন ধরে স্কুপ খেলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এদিন সেটা হয়েছে।’
ম্যাচের কথা বললে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB) আইপিএল ২০২৪-এ তার জয়ের খাতা খুলেছে। সোমবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসকে চার উইকেটে হারিয়েছে আরসিবি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৭৬/৬ রান করে পঞ্জাব। জবাবে RCB ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে বেঙ্গালুরু। আরসিবিকে তাদের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন বিরাট কোহলি ও দীনেশ কার্তিক। কোহলি ৪৯ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। একই সময়ে, কার্তিক ১০ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন। তিনি মারেন তিনটি চার ও দুই ছক্কা।