২০২৪ আইপিএলের ২১তম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসটি ছিল কার্যত এক তরফাই। রবিবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলারদের দাপটে কেঁপে যায় গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটিং লাই আপ। যার নিটফল, হাসতে হাসতে ১৬৩ রান ডিফেন্ড করে কেএল রাহুল বাহিনী। ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যান শুভমন গিলরা। ঘরের মাঠে ৩৩ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় লখনউ। এই লজ্জাজনক পরাজয়ের পর ব্যাটারদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভমন গিল। টাইটান্সের অধিনায়ক নিজেও এদিন ব্যর্থ হন। ২১ বলে ১৯ করে যশ ঠাকুরের বলে বোল্ড হন।
ম্যাচের পর কী বলেছেন শুভমন?
ম্যাচের পর শুভমন গিল বলেন, ‘ব্যাট করার জন্য এটি নিঃসন্দেহে ভালো উইকেট ছিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক। আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম, কিন্তু মাঝপথে উইকেট হারিয়ে তা থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। আমাদের বোলাররা অবশ্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। কারণ ওরা লখনউকে ১৬০-এর কাছাকাছি আটকে দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা হতাশ করেছে।’
আরও পড়ুন: গিলের জন্য আলাদা পরিকল্পনা ছিল- ৫ উইকেট নিয়ে হুঙ্কার যশ ঠাকুরের
ডেভিড মিলারের অভাব
ডেভিড মিলারের না খেলা নিয়ে শুভমান বলেছেন, ‘মিলার এমন একজন খেলোয়াড় যে মাত্র কয়েক ওভারেই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। আমি মনে করি, এই স্কোর তাড়া করার জন্য খুবই ভালো ছিল।’ নিজের আউট হওয়ার প্রসঙ্গে গিল বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি পাওয়ারপ্লে-র শেষ ওভার এবং আমি এটির পুরো সুবিধা নিতে চেয়েছিলাম। আমি সেই বলটি (যে বলে আউট হয়েছি) মিস করেছি।’
গুজরাটকে হারিয়ে নজির লখনউয়ের
আইপিএলের মঞ্চে ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ম্য়াচ জেতা এমন কোনও কঠিন কাজ না। বিশেষ করে এই মরশুমেই যেখানে প্রায় একটি ম্য়াচে পাঁচশোর বেশি রান হচ্ছে। কিন্তু এই রানটা তাড়া করতে নেমেই ম্য়াচ ৩৩ রানে হেরে গেল গুজরাট টাইটান্স। ১৬০ প্লাস স্কোর বোর্ডে তুলে সেই রান ডিফেন্ড করে প্রায় ১৩ বার ম্য়াচ জিতল কে এল রাহুলের দল। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বার গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের নায়ক তরুণ যশ ঠাকুর। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় শুভমন গিলের দল।
আরও পড়ুন: ওরা বড় নোংরা- রোহিত টিম ইন্ডিয়ার দুই তারকার সঙ্গে রুম শেয়ার করতে একদমই রাজি নন
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল লখনউ। আর ব্যাট করতে নেমে দ্রুত আউট হয়ে যান ওপেনার কুইন্টন ডি'কক (৬)। তিনে নেমে দেবদত্ত পাডিক্কালও (৭) নিরাশ করেন। তবে এর পর কেএল রাহুল এবং মার্কাস স্টোইনিস মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাহুলের ঘুম পাড়ানো ইনিংস রানের গতি স্লো করে দেয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩১ বলে ৩৩ করে আউট হন। কিন্তু হাল ধরে থাকেন স্টোইনিস। ৪৩ বলে ৫৮ করেন তিনি। এছাড়া ২২ বলে অপরাজিত ৩২ করেন নিকোলাস পুরান। ১১ বলে ২০ করেন আয়ুশ বাদোনি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে লখনউ ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৬৩ রান।
এখন আইপিএলে যা রান উঠছে, তাতে এই ১৬৩ রান আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে যায় গুজরাট। ১৩০ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় তারা। ওপেন করতে নেমে সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৩১ করেন। এটাই টাইটান্সের প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া ২৫ বলে ৩০ করেছেন রাহুল তেওয়াটিয়া। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। লখনউয়ের হয়ে যশ ঠাকুর একাই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন।