ঝাড়খণ্ডের বিরাট সিং একমাত্র সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর তাতেই চারশো রানের গণ্ডি টপকে গিয়েছিল তারা। আর পাল্টা মহারাষ্ট্র ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করল- একেবারে সেঞ্চুরির মেলা বসিয়ে দিল। তাদের তিন জন ব্যাটার রবিবার সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সেই সঙ্গে সাড়ে পাঁচশোর কাছাকাছি রান করে ফেলেছে মহারাষ্ট্র।
তাদের ইনিংসের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রের ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। শনিবার ১ উইকেটে ১৪৯ ছিল মহারাষ্ট্রের স্কোর। সেখান থেকে রবিবার সেই স্কোর পৌঁছে যায় ৪ উইকেটে ৫৪৩ রানে। পবন শাহ ৬৪ এবং নওশাদ শেখ ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। রবিবার সকালে নওশাদ ৭৩ করে আউট হয়ে গেলেও, পবন সেঞ্চুরি পূরণ করেন। তিনি ১৩৬ রান করে আউট হন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৪টি চার এবং তিনটি ছক্কা। এর পর চারে নেমে দলের অধিনায়ক কেদার যাদবও সেঞুরি হাঁকান।
আরও পড়ুন: সাদা-বলের ক্রিকেট খেলার যোগ্য নন অশ্বিন- তারকা স্পিনারকে নিয়ে বিস্ফোরক যুবরাজ
কেদার ২১৬ বলে ১৮২ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। ২১টি চার এবং ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর এই ইনিংস। নজরকাড়া একটি ইনিংস খেলেন কেদার। এর পর আবার পাঁচে নেমে অঙ্কিত বাওনও সেঞ্চুরি হাঁকান। তিনি আবার ১১৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের ব্যাটারদের কিছুতেই চাপে ফেলতে পারেননি ঝাড়খণ্ডের বোলাররা। কার্যত দেড় দিনে মহারাষ্ট্রের মাত্র ৪ উইকেট ফেলতে পেরেছে ঝাড়খণ্ড। আর কেদাররা রানের পাহাড় গড়ে ফেলেছেন। ৫৪৩ করে প্রথম ইনিংসে ১৪০ রানে ঝাড়খণ্ডের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। ঝাড়খণ্ডের হয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আশিস কুমার, বরুণ অ্যারন, শাহবাজ নাদিম এবং বিরাট সিং।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রাহুলকে উইকেটকিপার হিসেবে খেলানো হবে না, তবে কী ছক কষছে ভারত?
এই ম্যাচে টস জিতে ঝাড়খণ্ডকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্র। হিতেশ ওয়ালঞ্জের দাপটের মাঝেই ৪০৩ রান করেছিল ঝাড়খণ্ড। হিতেশ একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তবে ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক বিরাট সিং-এর ১০৮ রান এবং কুমার সুরজের ৮৩ রানের হাত ধরে চারশোর গণ্ডি টপকেছিল ঝাড়খণ্ড। এছাড়াও শাহবাজ নাদিম ৪১ রান করেছিলেন।
রঞ্জি ট্রফির ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড। পয়েন্ট টেবলে ভালো অবস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রথম ম্যাচ তারা ইনিংসে জিতে সাত পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। সেখানে ঝাড়খণ্ড প্রথম ম্যাচ ড্র করে এক পয়েন্ট পেয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ঝাড়খণ্ডের জন্য এই ম্যাচের ফলও চাপেরই হয়ে গেল। ম্যাচ ড্র হলেও, তাদের ভাগ্যে এক পয়েন্টের বেশি জুটবে না।