একজন করেছেন ১০০ রান। আর দলের বাকি ১০ জন মিলে করলেন ৩৭ রান। বাকি ছয় রান এল 'এক্সট্রা' হিসেবে। এমনই বীভৎস ব্যাটিং বিপর্যয় হল দিল্লির। সবমিলিয়ে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফিতে গ্রুপ 'বি'-র ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যান যশ ধুলরা। তার ফলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দিল্লিকে চরম লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে। দলের এক ব্যাটার সেঞ্চুরি করার পরও সর্বনিম্ন রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ার লজ্জা মুখে পড়েছে দিল্লি। আগে কখনও দলের একজন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরও কোনও দল এত কম রানে অল-আউট হয়ে যায়নি। আর সেই পরিস্থিতিতে হাসতে-হাসতে জিতে যায় মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের কর্ণাটক। জয় আসে ছয় উইকেটে।
সোমবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্ণাটক। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান অনুজ রাওয়াত। তারপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। কোনও জুটিই গড়ে উঠছিল না। একমাত্র আয়ুষ বাদোনি ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেননি। পাঁচ নম্বরে নেমে ১০৬ বলে ১০০ রান করেন তিনি। তাও সেটার জন্য ইশান্ত শর্মার কিছুটা কৃতিত্ব প্রাপ্য।
নবম উইকেটে বাদোনি এবং ইশান্তের জুটিতে ৪০ বলে ৩৮ রান ওঠে। ছয় বল খেলে ইশান্ত কোনও রান না করলেও বাদোনির সঙ্গে নিদেনপক্ষে দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে সেই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৬.৩ ওভারে ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় দিল্লি। লখনউ সুপার জায়ান্টের প্রাক্তন মেন্টর গৌতম গম্ভীরের প্রাক্তন্য শিষ্য বাদোনির দিল্লির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন প্রিয়াংশ আর্যের। ওপেনিংয়ে নেমে ১৫ রান করেন তিনি। ওই দু'জন ছাড়া যশ শুধুমাত্র দু'অঙ্কের গণ্ডি পার করতে পারেন।
কর্ণাটকের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান বিদ্যোত কাভেরাপ্পা এবং বাসুকি কৌশিক। দুটি করে উইকেট পান বিজয়কুমার বৈশাক এবং কে গৌতম। আর তাঁদের সেই বোলিংয়ের পর কর্ণাটক যদি জিততে না পারত, তাহলে সম্ভবত নিজেদের ক্ষমা করতে পারতেন না মায়াঙ্করা। যাঁরা প্রাথমিক ধাক্কা সামলেও ২২.৩ ওভার বাকি থাকতে জিতে যান। ৭০ রান করেন দেবদূত পাডিক্কাল। ৩৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন মণীশ পাণ্ডে।
একজন শতরানের পরও সর্বনিম্ন রানে অল-আউটের তালিকা
১) দিল্লি বনাম কর্ণাটক: ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর বিজয় হাজারে ট্রফিতে ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় দিল্লি। ১০০ রান করেন বাদোনি।
২) শ্রীলঙ্কা এয়ার ফোর্স স্পোর্টস ক্লাব বনাম কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব: ২০২২ সালের ২৯ জুন মেজর ক্লাবস লিমিটেড ওভার টুর্নামেন্টে ১৫৪ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা এয়ার ফোর্স স্পোর্টস ক্লাব। ৬৫ বলে ১০৩ রান করেছিলেন মোবিন সুবাসিংহে।
৩) নটিংহ্যামশায়ার বনাম ইয়র্কশায়ার: ১৯৬৩ সালের ২২ মে ইংল্যান্ডের জিলেট কাপে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৯ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল নটিংহ্যামশায়ার। সেঞ্চুরি করেন ব্রায়ান বোলুস (অপরাজিত ১০০ রান)।
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।