দলের প্রায় অর্ধেক বল খেলেছেন। কিন্তু দলের অর্ধেকও রান করেননি। সেজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশের ট্রোলের মুখে পড়লেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) তারকা বিরাট কোহলি। নেটপাড়ার একাংশের বক্তব্য, বিরাট ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের (স্ট্রাইক রেট) যে ইনিংসটা খেলেছেন, সেটা যদি ১৭০ রানের পিচে আসত, তাহলে ঠিক ছিল। কিন্তু শুক্রবার চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে তিনি যে ইনিংস খেলেছেন, সেটা তেমন কার্যকরী ছিল না। বরং তাঁর খেলা ২০টি বল যদি দীনেশ কার্তিকরা পেতেন, তাহলে আরসিবির রানটা ২০০-র গণ্ডি পেরিয়ে যেত। যদিও নেটিজেনদের একটি অংশ পালটা যুক্তি দিয়েছেন যে শুক্রবার কাউকে পাশে পাননি বিরাট। আর উইকেটও খুব একটা সহজ ছিল না। নাহলে বিরাট অনায়াসে সেঞ্চুরি করে ফেলতেন বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
শুক্রবার কেকেআরের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৮২ রান তোলে আরসিবি। ৫৯ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট। চারটি চার এবং চারটি ছক্কা মারেন। ফ্যাফ ডু'প্লেসি, রজত পতিদাররা রান না পেলেও ক্যামেরন গ্রিন এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের সঙ্গে ছোটখাটো পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন বিরাট। একটা সময় মনে হয়েছিল যে শতরান হাঁকিয়ে ফেলবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। বেঙ্গালুরুও ভালো শুরু করে ২০০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। আর সেটার জন্য বিরাটের ইনিংসকে দায়ি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
আরও পড়ুন: Gambhir on RCB: RCB ‘কিছু জেতেনি, কিন্তু এমন ভাব করত যে সব জিতেছে’, তাই সহ্য হয় না, বলেন গম্ভীর
এক নেটিজন বলেন, ‘ওপেন করার পরে ১৪০-র সামান্য বেশি স্ট্রাইক রেট ইনিংস শেষ করাটা মোটেও যথেষ্ট নয়। যখন কঠিন উইকেটে ১৬০ রান বা ১৭০ রান বা ১৫০ রান তাড়া করেন, তখন এরকম ইনিংস একেবারে নিখুঁত হয়। কিন্তু সমস্যাটা হল যে কয়েকটি দেশে আবার কিংবদন্তিদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা যায় না।’ অপর একজন বলেন, 'বিরাটের ইনিংসটাই খেলাটা শেষ করে দিল।' একইসুরে একজন বলেন, ‘বিরাট আরও একটু বেশি আগ্রাসী হতে পারতেন। তাহলে ৩০ রান বেশি উঠতে পারত। আরসিবির স্কোর ২০০ পেরিয়ে গেলে ম্যাচের ফলাফল অন্য হতেই পারত।’
যদিও ম্যাচের প্রেক্ষিতে বিরাটের সেই ইনিংসকে ‘পারফেক্ট’ তকমা দিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তেমনই একজন বলেন, ‘বিরাট কোহলি একা আর কত কিছু করবেন? ওঁর সঙ্গে কারও থাকা উচিত ছিল। আজ যদি ওঁর সঙ্গে কেউ থাকতেন, তাহলে ওঁ নিশ্চিতভাবে ৮৩ রানের পরিবর্তে ১২০ রান করে ফেলতেন। এটা টিম স্পোর্টস। এটা একজনের খেলা নয়। আজ ও কারও থেকে সহযোগিতা পাননি।’ একজন আবার নাম না করে রোহিত শর্মাকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘১৮২ রানের মধ্যে ৮৩ রান করার জন্য ট্রোলের মুখে পড়েন বিরাট কোহলি। কিন্তু ২৭৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ২৬ রান করার জন্য কেউ প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়ে চলে যান।’