এ যেন কোনও রূপকথার গল্প। সত্যি হলে কী এমনটা হতে পারে? এ যে অবিশ্বাস্য। ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। আফগানিস্তান কার্যত ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে একা হাতে ম্যাচের রং-ই বদলে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শুধু যে নিজে দ্বিশতরান করলেন, এমনটা তো নয়, আফগানিস্তানের মুখের থেকে কার্যত গ্রাস ছিনিয়ে নিলেন ম্যাক্সি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। হারতে বসা ম্যাচকে নতুন মোড়কে মুড়ে দিলেন ম্যাক্সি আর কামিন্স। অষ্টম উইকেটে দুই তারকা ২০২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে তুলে দিলেন সেমিফাইনালে।
ওয়াংখেড়ের গরমে ৫০ ওভার বল করার পরে ব্যাট করাটা মোটেও সহজ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। আর সেই গরম উপেক্ষা করেই ১২৮ বলে ২০১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। কী ভাবে সম্ভব হল? ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে ফিল্ডিং করেছি। সেই কারণে সমস্যা হচ্ছিল। ক্র্যাম্প ধরছিল। তাই মাঝে মাঝে শুয়ে পড়ে সেটা ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম। শেষ দিকে ব্যথা বাড়ছিল। কিন্তু তার পরেও ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছি।’
আরও পড়ুন: ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় দ্বিশতরান, আফগানদের মুখের গ্রাস কেড়ে সেমিতে অজিরা
শতরানের আগে থেকেই পায়ের পেশিতে টান ধরা শুরু হয়েছিল ম্যাক্সির। যত ইনিংস গড়িয়েছে, তত ব্যথা বেড়েছে। কয়েক ওভার অন্তর মাঠের ধার থেকে ছুটে আসছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্ট স্টাফেরা। প্রথমে ম্যাসাজ, তার পরে ব্যথা কমানোর ওষুধ- কিছুই বাদ ছিল না। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ব্যথা নিয়েও লক্ষ্য থেকে সরেননি। অসম্ভব মানসিক জেদ না থাকলে এই ইনিংস খেলা সম্ভব নয়। ম্যাক্সওয়েলের এই ইনিংসকে তাই অতিমানবীয় বললেও কম বলা হয়। তিনি বলছিলেন, ‘সৌভাগ্যবশত শেষ পর্যন্ত থাকতে পেরেছি। আমি সব সময়ে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি। মনের জোর ধরে রেখেছি। মনকে বুঝিয়েছি যে খারাপ বল পেলে মারব। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। বল দেখে খেলছিলাম। একটা সময়ের পরে ব্যাটে বল খুব ভালো ভাবে আসছিল। তাই শট খেলতে সুবিধা হচ্ছিল। এর আগে এমন ইনিংস খেলার সুযোগ পেলেও, সদ্ব্যবহার করতে পারিনি। আজ (মঙ্গলবার) সেটি করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
আরও পড়ুন: ২০২ রানের বিশ্বরেকর্ড জুটি ম্যাক্সি-কামিন্সের, নয়া নজিরের সুনামি অজি তারকার
তবে ম্যাক্সি কিন্তু সুযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর একটি সহজ ক্যাচ পড়েছে। এক বার আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরেও রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। আর সুযোগহীন ইনিংস খেলতে পারেননি বলেই তাঁর বড় আফসোস রয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অজি তারকা বলেছেন, ‘সেই এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তটা সম্ভবত আমাকে আরও সক্রিয় করে তুলেছিল। এটি একটি সুযোগহীন নক হলে ভালো হত, কিন্তু আমি সুযোগ দিয়েছি। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরে ঠিক করে নিয়েছিলাম যে, এ বার হাত খুলে খেলব। প্রথম দু'টি ম্যাচে হারার পরে সবাই ভেবেছিল আমরা আর সেমিফাইনালে উঠতে পারব না। অনেক কিছু জবাব দেওয়ার ছিল। সেটাও দিলাম।’
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।