রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন নিয়ে এখন দামামা বেজে উঠেছে। ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা নিয়ে জেলায় জেলায় অশান্তি শুরু হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দিয়েছে। সেই হিসেব অনুযায়ী, আগামী ২৭ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে শাসকদল।
কী কী নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে? এবার ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। তাই দলীয় স্তর থেকে সকল নেতা–কর্মীর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, যাকে দল প্রার্থী করবে, তার সমর্থনেই দলের সব শাখা, গণসংগঠনকে নামতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তা মেনেই মিছিল–মিটিং করতে হবে। ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে হবে। এমনকী বাড়ি বাড়ি প্রার্থীর প্রচার দু’বার করতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ট্যাবলো ব্যবহার করতে পারেন প্রচারে যাতে মানুষ ইস্যুগুলি দেখতে ও জানতে পায়। তাছাড়া আগের নির্বাচনে যেসব ওয়ার্ডে এবং পুরসভায় বিজেপি এবং অন্যান্য প্রতিপক্ষের লিড ছিল, সেখানে প্রার্থীদের সরাসরি বাড়ি যেতে হবে৷ কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় উন্নয়ন–সহ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি এবং রাজ্য সরকারের সব কটি উন্নয়ন, সামাজিক প্রকল্পের কথা জানাতে হবে প্রচারে।
আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের কোনও প্রচারে বাধা দিয়ে তাদের নাটক করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। বরং তাদের আপত্তিকর কাজ প্রশাসন ও শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান। উত্তরবঙ্গে রেলমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অবদান তুলে ধরতে হবে। জঙ্গলমহলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা তুলে ধরতে হবে। এমনকী যাঁরা অন্য দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চান, উন্নয়নে শামিল হতে চান তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। বাড়তি ভোট পেতে এমন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।