সোমবার সকালেই ফের রক্তে ভিজল বাংলার মাটি। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন একজন। মৃত ব্যক্তির নাম পরিতোষ মণ্ডল। ঘটনায় গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন আরও একজন। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া। ভোররাতে বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে শালিপুর। এই নিয়ে গত ২৪ দিনে ১৪ জন মারা গেলেন পশ্চিমবঙ্গে। (পঞ্চায়েত ভোটের যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
জানা গিয়েছে, মাঠে বোমা বাঁধার কাজ করছিল দু'জন। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, বোমা বাঁধার ঘটনায় মৃত এবং জখম ব্যক্তির নামে এর আগে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি পুলিশে। এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি ছড়াতেই এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। এদিকে এই বোমা বাঁধার কাজে যুক্ত নিহত ও জখম ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: প্লেনের টিকিট বাতিল করে ট্রেনে কলকাতায় ফিরলেন রাজ্যপাল, পথে বাসন্তীর নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ফোন
এর আগে গত ৩০ জুন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন শেখ নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ ওঠে, যে বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল সেটা একটি নির্দল প্রার্থীর বাড়ি। এদিকে জখম নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এর আগে গত ২৪ জুন বোমা বাঁধতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মৃত্যু হয়েছিল আলিম শেখ নামক এক ব্যক্তি। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থানার ঘোড়াদল এলাকায় বোমা বাঁধতে গিয়ে গুরুতর জখম হয় আরিফ নামক এক যুবক। এদিকে এই সব ঘটনা ছাড়াও একাধিক জায়গায় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ বেঁধেছে। কোচবিহার থেকে ভাঙড়ে রক্ত ঝরেছে রাজনৈতিক হিংসায়।
এদিকে পৃথক এক ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের শিউলিতে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির কাছেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘঠনাস্থল থেকে তাজা বোমাও উদ্ধার করা হয়। এদিকে মুর্শিদাবাদের মানিকচকে বোমা ছোড়ার ঘটনায় আক্রান্ত হন তিন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, মানিকচক অঞ্চলের বাউরিমারি এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় কংগ্রেস কর্মীরা। যদিও হাত শিবির সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।