আত্মপ্রকাশের পর কেটে গিয়েছে দু'বছর। কিন্তু এ বারেও পঞ্চায়েতে অন্য নামে লড়তে হবে ইন্ডিয়ান স্যাকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-কে। বিধানসভা নির্বাচনের মতো ব্যালটেও তাদের নাম থাকবে না। নির্বাচন কমিশনের খাতায় নথিভুক্ত রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিস পার্টি নামে তাকে ভোটে লড়তে হবে।
(পঞ্চায়েত নির্বাচনের আরও খবর। Bomb Blast in Haroa: হাড়োয়ায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত ১, রাজ্যে এই নিয়ে পঞ্চায়েতের বলি হলেন ১৪)
দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানিয়েছেন এবারও তাঁদের খাম প্রতীকে লড়াই করতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, জাতীয় ও রাজ্য দলগুলির তাদের নির্দিষ্ট প্রতীকে লড়াই করবে। এর বাইরে যারা ভোট লড়ছে তাদের ১৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রতীক বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়গুলি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে। এই রকম ১০টি দলের নাম ও প্রতীক নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে সিপিআই থেকে আরাম্ভ করে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চ পর্যন্ত। এ ছাড়া আরও ১০টি দলের নাম জানানো হয়েছে যাদের কোনও প্রতীক নির্দিষ্ট নয়। নির্দলদের জন্য থাকা প্রতীক বণ্টনের ওই ১০টি দল অগ্রাধিকার পাবে। এই ১০ দলের তালিকায় আইএসএফের নাম নেই। তারা পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছে আরএসএমপি-র নামে।
কেন মেলেনি স্বীকৃতি?
ভাঙড়ের মতো দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছে আইএসএফ। তা সত্ত্বে দুবছর কেটে গেলেও কেন নিজের নামে লড়তে পারছে না তারা? এ প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্য,'রাজ্যদল হিসাবে স্বীকৃতী পেতে গেলে একটা নির্দিষ্ট শতাংশ ভোট পেতে হয়। তবেই প্রতীক মেলে। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ মেলেনি। তাই প্রতীকও মেলেনি।'
তাঁর কথায়,'পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা যদি সব আসনে লড়াই করার সুযোগ পেতাম, তাহলে হয়তো প্রয়োজনীয় ভোট পেয়ে যেতাম। সেক্ষেত্রে রাজ্য দলের স্বীকৃতি পেতে সমস্যা হতো না। কিন্তু আমাদের রাজ্যের সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি তাই আমাদের সব আসনে লড়া হচ্ছে না।' বিধানসভার মতো তারা আরএসএমপি-র খাম প্রতীকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করবে।
এই নজির নতুন নয়
রাজ্যের রাজনীতিতে পরিচিত নাম হলেও অন্য দলের প্রতীকে লড়ার নজির আগেও আছে। বাম শরিক মার্ক্সবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক, আরসিপিআই বা বিল্পবী বাংলা কংগ্রেস দলগুলিকে একই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তারা সিপিএমের কাস্তে-হাতড়ি প্রতীকে একাধিকবার ভোটে লড়াইও করেছে। কিন্তু কমিশনের খাতায় তাদের নাম থাকত সিপিএমের প্রতিনিধি হিসাবে।