দিনহাটায় তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার কোচবিহারে সভার করার পর কয়েকঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে খুন হন তৃণমূল কর্মী বাবু হক। শাসকদলের অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
(পড়তে পারেন। দিনহাটায় গুলিতে খুন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৬)
মঙ্গলবার ভোররাতে দিনহাটার গিতালদহে জারিধরলা গ্রামে সংঘর্ষ বাঁধে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবু হকের। আহত হন আরও ৬ জন। আহতদের উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় কোচিবিহারে হাসপাতালে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক এই ঘটনার জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, 'ওপার থেকে লোক এনে হামলা করেছে বিজেপি। এখানকার কিছু নেতা-মন্ত্রী অন্য রাজ্য প্রতিবেশী দেশ থেকে লোক নিয়ে অশান্তি করছে।'
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বিএসএফকেও তোপ দাগেন। মন্ত্রী বলেন,'জারিধরলা সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। সেখানে বিএসএফ নজরদারি ছাড়া কিছু সম্ভব নয়। কী করছিল বিএসএফ।'
সোমবার কোচবিহারের চান্দামারির সভা থেকে বিএসএফের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুলির জনসভাতেও বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে সরব হন মমতা। এই গুলিচালনার উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন,ভোটের সময়ও বাইরে থেকে লোক ঢোকাতে পারে বিজেপি।
এই ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত ছিল না বলেই দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।