আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সময় রাজনৈতিক দল। নির্বাচন কমিশনও সেই মর্মে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন শিক্ষকদের ভোট পরিচালনার কাজে ব্যবহার করতে চায়ছে। এনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এর তীব্র বিরোধিতা করেছে সরকারি কর্মীদের সংগঠন ভোট কর্মী মঞ্চ। তারা এই পদক্ষেপকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতির বিরোধী বলে উল্লখ করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর পরই নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের, প্রত্যেক ব্লকে এখন বসছে জায়ান্ট স্ক্রিন
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের জন্য কর্মীর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসকদের এব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের তথ্য খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষকদের। তার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকরা জেলা শাসকদের কাছে তথ্য পাঠাবেন। কীভাবে প্রধান শিক্ষকদের তথ্য পাঠাতে হবে সে বিষয়ে উল্লেখ করেছেন জেলাশাসকরা। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল রয়েছে তাতেই এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ফলে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যের সব স্কুলে ছুটি শুরু হয়ে যাবে। তাই তার আগেই যাতে তথ্য পাঠানো যায় সে বিষয়ে জেলা শাসকদের মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।
এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভোট কর্মী মঞ্চের কর্মীদের মতে, কেন্দ্র সরকার নিজেই নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য রাজ্যকে চাপ দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বলা হয়েছে শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও কাজ ছাড়া অন্য কিছু করানো যাবে না। তাহলে সে ক্ষেত্রে কেন তাদের ভোটের কাজে লাগাতে চায়ছে কমিশন? তাই নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, এরকম করে কেন্দ্র নিজেই নিজেদের নীতি ভাঙছে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশে লোকসভা ভোট হবে। ভোট পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সরকারি দফতরের কর্মীদের দিয়ে কাজ করাতে চায়ছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের দিয়ে ভোটের কাজ করানোর কমিশনের তীব্র বিরোধিতা করেছে ওই সংগঠন।