পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে লোকসভা ভোট করানোর জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল নির্বাচন কমিশন। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, জম্মু এবং কাশ্মীরের জন্য যত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তারও ১.৫ গুণ বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত লোকসভা ভোটের থেকে প্রায় ২০০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়ার সিদ্ধান্তে স্বভাবতই বিজেপির মুখে হাসি ফুটেছে। যদিও স্রেফ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা দেখে উচ্ছ্বাসপ্রকাশ করতে নারাজ সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। বরং দু'দলেরই দাবি, প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও অনেক সময় বিভ্রান্ত করা হয়। বাহিনীর সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হল যে কীভাবে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে একেবারেই রাজি নয়। পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের জন্য যথেষ্ট অস্বস্তিজনক। ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গে কীরকম পরিস্থিতি, সেটাও ওই পরিসংখ্যানে প্রকট হয়ে উঠেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ দেশের কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য এত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়নি। এমনকী যে রাজ্যগুলিতে (অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িশা এবং সিকিম) লোকসভা ভোটের সঙ্গে-সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলবে, সেগুলির জন্যও অনেক কম কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Polls 2024: লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে বৃহস্পতিবারই আলোচনায় বসছে বাম ও কংগ্রেস
কোন রাজ্যের জন্য কত কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন?
১) অন্ধ্রপ্রদেশ: ২৫০ কোম্পানি।
২) অরুণাচল প্রদেশ: ৭৫ কোম্পানি।
৩) অসম: ১৬০ কোম্পানি।
৪) বিহার: ২৯৫ কোম্পানি।
৫) ছত্তিশগড়: ৩৬০ কোম্পানি (মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা আছে)।
৬) গোয়া: ১২ কোম্পানি।
৭) গুজরাট: ২০০ কোম্পানি।
৮) হরিয়ানা: ৯৫ কোম্পানি।
৯) হিমাচলপ্রদেশ: ৫৫ কোম্পানি।
১০) ঝাড়খণ্ড: ২৫০ কোম্পানি।
১১) কর্ণাটক: ৭০ কোম্পানি।
১২) কেরল: ৬৬ কোম্পানি।
১৩) মধ্যপ্রদেশ: ১১৩ কোম্পানি।
১৪) মহারাষ্ট্র: ১৫০ কোম্পানি।
১৫) মণিপুর: ২০০ কোম্পানি।
১৬) মেঘালয়: ৪৫ কোম্পানি।
১৭) মিজোরাম: ১৫ কোম্পানি।
১৮) নাগাল্যান্ড: ১৮ কোম্পানি।
১৯) ওড়িশা: ২৫০ কোম্পানি।
২০) পঞ্জাব: ২৫০ কোম্পানি।
২১) রাজস্থান: ২০০ কোম্পানি।
২২) সিকিম: ১৭ কোম্পানি।
২৩) তামিলনাড়ু: ২০০ কোম্পানি।
২৪) তেলাঙ্গানা: ১৬০ কোম্পানি।
২৫) ত্রিপুরা: ১০০ কোম্পানি।
২৬) উত্তরপ্রদেশ: ২৫২ কোম্পানি।
২৭) উত্তরাখণ্ড: ৭০ কোম্পানি।
২৮) পশ্চিমবঙ্গ: ৯২০ কোম্পানি।
২৯) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: ৫ কোম্পানি।
৩০) চণ্ডীগড়: ১১ কোম্পানি।
৩১) দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ: ১৪ কোম্পানি।
৩২) দিল্লি: ৭০ কোম্পানি।
৩৩) লাক্ষাদ্বীপ: ৩ কোম্পানি।
৩৪) জম্মু ও কাশ্মীর: ৬৩৫ কোম্পানি।
৩৫) পুদুচেরি: ১০ কোম্পানি।
৩৬) লাদাখ: ৫৭ কোম্পানি।
আরও পড়ুন: 17th Lok Sabha: ১৭তম লোকসভায় অবাক করা নজির ৯ সাংসদের, সানি দেওলকে ছুঁলেন দিব্যেন্দু অধিকারী!