লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেই কংগ্রেসকে লাগাতার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার কংগ্রেস শাসনে দেশে হিংসাকে বাড়তে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, দুর্নীতিকে আড়াল করার জন্য হিংসাকে উৎসাহ দিয়েছে কংগ্রেস। আর সেই কারণে মাওবাদীদের কার্যকলাপ বেড়েছে। মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের ধামতারি জেলার মহাসমুন্দ লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: 'গোয়ায় সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে'-মন্তব্য কং প্রার্থীর, পাল্টা দিলেন মোদী
মঙ্গলবার সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস এবং উন্নয়ন একসঙ্গে চলতেই পারে না। যেখানেই তারা ক্ষমতায় ছিল দুর্নীতি এবং হিংসা শীর্ষে পৌঁছেছিল।’ এপ্রসঙ্গে ছত্তিশগড়ের মাওবাদী প্রসঙ্গ টেনে এনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস যখন উত্তর পূর্বে ক্ষমতায় ছিল তখন হিংসাত্মক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এটাই কংগ্রেস যারা ছত্তিশগড়ে যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন সেখানে মাওবাদী হিংসা বেড়েই যাচ্ছিল।’ মোদীর প্রশ্ন কংগ্রেসের সঙ্গে হিংসার কেন এরকম সম্পর্ক? এর উত্তরে মোদীর দাবি, ‘এর পিছনে হল দুর্নীতি। কংগ্রেস নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য হিংসাকে সমর্থন করেছে। মানুষ মরতে থাকে কিন্তু কংগ্রেস নিজেদের পকেট ভরতে ব্যস্ত ছিল।’
নরেন্দ্র মোদীর দাবি, বিজেপি সরকার দুর্নীতি এবং মাওবাদী হিংসা উভয়কেই নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’ প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস, আগামী দিনে তিনি মাওবাদীকে নির্মূল করবেন। তিনি বলেন, ‘ছত্তিশগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে আমি মাওবাদের নির্মূল করব। আমি মায়েদের আশ্বস্ত করি যে তাদের সন্তানদের জীবন নষ্ট হবে না। আপনার সন্তানকে রক্ষা করার জন্য, আমি প্রত্যেক মাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে আমি মাওবাদকে নির্মূল করব।’
এদিন মোদীও আরও অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করেছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে তারা তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছে।এছাড়াও, কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই পালটা দেশের সংবিধানে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তোলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেস শাসনে দলিত, আদিবাসী এবং অনগ্রসর শ্রেণির অংশগ্রহণকে মেনে নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘এর আগে কর্ণাটকের একজন কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন যে দক্ষিণ ভারতকে একটি পৃথক দেশ ঘোষণা করা উচিত। এখন গোয়ার একজন কংগ্রেস প্রার্থী বলেছেন যে গোয়াতে ভারতীয় সংবিধান প্রযোজ্য নয়। তিনি বলছেন গোয়ার উপর সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ এপ্রসঙ্গে মোদীর প্রশ্ন, ‘এটা কি বাবাসাহেব আম্বেদকরের অপমান নয়? এটা কি সংবিধানের অবমাননা নয়? এটা কি ভারতের সংবিধানের ওপর হস্তক্ষেপ নয়?’ তাঁর অভিযোগ, এটা দেশ ভাঙার চক্রান্ত।