আর বাকি ১৪ দিন। তারপরই দেশজুড়ে হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। মোট সাত দফায় হবে ভোটগ্রহণ। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। তবে আজ, শুক্রবার থেকেই দেওয়া যাবে ভোট। তাও আবার বুথে না গিয়ে, বাড়িতে বসেই। এবার দেশজুড়ে চালু হচ্ছে বাড়ি বসে ভোটদান বা হোম ভোটিং প্রসেস। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ আগামী ১৯ এপ্রিল। তাই আজ থেকে বাড়ি বসে ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ বাড়ি বসে ভোট দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে—জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
এদিকে বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আজ ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের তিনটি কেন্দ্রে এই ‘হোম ভোটিং’ চলবে। আর এই কাজ করতে নির্বাচনী কর্মীরা ভোটারের বাড়ি চলে যাচ্ছেন এবং সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপার সংগ্রহ করছেন। ৮৫ বছর বয়সের বেশি প্রবীণরা, অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ব্যক্তি এবং পুলিশ, দমকল, রেলকর্মী প্রমুখ ১৮টি জরুরি পরিষেবার পেশার লোকজন এই সুযোগ পাবেন। রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী দফতর সূত্রে খবর, কোচবিহারে ২ হাজার ২৯২ জন প্রবীণ, ৭৬১ জন বিশেষভাবে সক্ষম এবং ১,৬৯১ জন জরুরি পরিষেবার কর্মী মিলিয়ে মোট ৪৭৪৪ জন এই সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: বিপজ্জনক বাড়ি এবার ভেঙে পড়ল পাথুরিয়াঘাটায়, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার মধ্যেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, এবার থেকে হোম ভোটিং প্রসেস আনা হচ্ছে। নির্বাচন নীতির ২৭ এ ধারা সংশোধন করে পোস্টাল ব্যালটে ভোটের পাশাপাশি এই নিয়মও সংযোজন করা হচ্ছে। ফলে বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ করার সুবিধা দেওয়া হবে প্রবীণ ভোটারদের। একজন রিটার্নিং অফিসার ভোটারের বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে এই ভোটগ্রহণ করবেন। আলিপুরদুয়ারে ১,৯১১ জন প্রবীণ, ৯৬২ জন বিশেষভাবে সক্ষম ও ২৬৬ জন জরুরি পরিষেবার কর্মী–সহ মোট ৩,১৩৯ জন এই সুযোগ পাবেন। জলপাইগুড়ি জেলায় ২,৪৮৬ জন প্রবীণ, ১,৩২৩ জন বিশেষভাবে সক্ষম এবং ৩০৫ জন জরুরি পরিষেবার কর্মী–সহ মোট ৪১১৪ জন বাড়িতে বসে এই ভোট দেবেন।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন সরাসরি জানিয়েছে, মোট ১১ হাজার ৯৯৭ জন ভোটার প্রথম দফার নির্বাচনে হোম ভোটিং করতে পারবেন। যাঁরা এই পথে ভোট দিতে চান তাঁদের নির্দিষ্ট ফরমায় আবেদন করতে হবে। আগাম জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তখন ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল আজ থেকেই। যাঁরা বাড়ি বসে ভোট দিতে চান, তাঁদের নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন গৃহীত হলে দু’জন নির্বাচনী অফিসার যাবেন ভোটগ্রহণ করতে। এদের মধ্যে একজন রিটার্নিং অফিসার, একজন ভিডিয়োগ্রাফার এবং নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন।