উত্তর মালদায় এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে এমন ঘোষণার পরেই মালদার তৃণমূল নেত্রী মৌসম নুরকে সেভাবে জনসভায় দেখা যায়নি। তাতে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছিলেন তিনি দলের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন। এমনকী তাঁর দলবদল নিয়েও জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তারপরে অবশ্য তৃণমূল নেত্রীর সেরকম কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সেই যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন মৌসম নুর। তিনি কি সত্যিই তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন নাকি দলবদল করতে চলেছেন তা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুনঃ 'সব জানিয়েছি দলকে,' মমতা-অভিষেক মালদায়, তার মধ্যেই বোমা ফাটালেন মৌসম
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন মৌসম নূর। তবে তিনি বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে মনে করেছিলেন মালদার দলের নেতা কর্মীরা। তবে তাঁর বদলে প্রাক্তন আইপিএস’কে প্রার্থী করায় মৌসম কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। এমনকী গণি খান পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা মালদা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ঈশা খান চৌধুরী বলেছিলেন, মৌসম কংগ্রেসে এলে দল আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তাঁর জন্য কংগ্রেসের দরজা খোলা।
তবে মৌসম জানিয়ে দিলেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কেন তাঁকে প্রচারে দেখা যায়নি তার কারণও জানাননি তিনি। তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কলকাতায় ছিলেন। এমনকী ব্যক্তিগত কাজে তিনি দিল্লিতে গিয়েছিলেন।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এর আগে মালদা উত্তর কেন্দ্রে দুবার সাংসদ ছিলেন। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীও ছিলেন। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তাদের পরিবারের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার ফলে বিজেপি ফয়দা তুলেছিল। তবে এবার তিনি টিকিট পাওয়ার আশায় ছিলেন। শুধু তাই নয় জয়ের বিষয়েও প্রত্যয়ী ছিলেন। এর জন্য তিনি প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলেও জানান।
প্রসূন গঙ্গোপাধ্যায়কে দলের প্রার্থী করা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘দল যা ঠিক মনে করেছে তাই করেছে। তা আমি মেনে নিয়েছি।’ একইসঙ্গে আগামী দিনে তিনি নির্বাচনে প্রচারে নামবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর আশা এবার মালদা জেলার দুটি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হবে।