হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জয় আসেনি। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে ভোটের যা ব্যবধান, তা থেকেই স্পষ্ট যে বিজেপিকে জেতানোর জন্য মানুষ প্রবল চেষ্টা করেছিলেন। এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। সেইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, হিমাচলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের রেকর্ড জয় উদযাপনের জন্য দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আসেন মোদী। সেখানে মোদী বলেন, ‘হিমাচলের প্রত্যেক ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। নড্ডাজি (বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা) যেমন বলছিলেন, এক শতাংশেরও কম ভোটে হেরেছে বিজেপি। এত কম ব্যবধানে হিমাচলের ইতিহাসে কখনও কখনও দল হারেনি। এটার অর্থ হল যে ভারতীয় জনতা পার্টিকে জয়ী করার জন্য প্রবল চেষ্টা করেছেন।’
সেইসঙ্গে মোদী আশ্বস্ত করেন যে হিমাচলে বিজেপির সরকার না থাকলেও উন্নয়নের কাজ থমকে যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমি হিমাচলের মানুষকে আশ্বস্ত করছি যে হিমাচলের প্রতিটি বিষয়ে নিয়ে কাজ করব। হিমাচলের প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করব। হিমাচলের উন্নতির জন্য কাজ করব। হিমাচলের উন্নতির জন্য ভারত সরকার একইরকমভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’
হিমাচল নিয়ে মোদীর টুইট
বিজেপির সদর দফতরে আসার আগেও হিমাচলের নির্বাচন নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হেরে গিয়েও হিমাচল প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আগামিদিনে আমরা রাজ্যের আকাঙ্খা পূরণের জন্য কাজ করব এবং মানুষের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরব।’
বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে দুটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গুজরাটে রেকর্ড জয় পেলেও হিমাচল প্রদেশে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে বিজেপি। সেই হারের পরে বিকেলের দিকে টুইটারে মোদী বলেন, ‘বিজেপির প্রতি যে ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন, সেজন্য হিমাচল প্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আগামিদিনে আমরা রাজ্যের আকাঙ্খা পূরণে কাজ করব এবং মানুষের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরব।’
হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল
- বিজেপি: ইতিমধ্যে ২৩ টি আসনে জিতে গিয়েছে বিজেপি। দুটি আসনে এগিয়ে আছে। প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৩ শতাংশ।
- কংগ্রেস: ৪০ টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৩.৯ শতাংশ।
- নির্দল: তিনটি আসনে জিতেছে।
২০১৭ সালে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল কী হয়েছিল?
পাঁচ বছর আগে হিমাচল প্রদেশে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। ৪৪ টি আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৮.৭৯ শতাংশ। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ২১ টি আসন। ৪১.৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। একটি আসন গিয়েছিল সিপিএমের ঝুলিতে (এবার অবশ্য সিপিএম কোনও আসন জিততে পারেনি)। নির্দলরা জিতেছিল দুটি আসনে।