রাত পোহালেই রাজ্যের চার জেলার ৩০টি আসনে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা ভোট। নজরে যখন হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দ্রীগ্রাম, তখনই আচমকা উত্তপ্ত ব্যারাকপুর। এদিন ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীর মনোনয়ন জমার সময় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাঁধে। শুভশ্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ ব্যারাকপুর মহকুমার অফিসে ঢোকবার পড়েই দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। চলে লাগাতার ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ, নামানো হয় ব়্যাফ (RAF)। গুলি চলবার অভিযোগও উঠেছে।
এদিন শুধু রাজই নয়, ২২ শে এপ্রিল রাজ্যে ষষ্ঠ দফায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার যে সব কেন্দ্রে নির্বাচন, সেইসব তৃণমূল প্রার্থীরা এদিন ব্যারাকপুর মহকুমা ভবনে পৌঁছান মনোনয়ন জমা দিতে। পাশাপাশি একই সময় ব্যারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার চন্দ্রমণি শুক্লা এবং বীজপুরের হাইপ্রোফাইল বিজেপি নেতা মুকুল রায় পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়াতেই বিরোধ শুরু। বিজেপি কর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ তোলে, অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীরাও ‘খেলা হবে’. ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি তুলে সুর চড়ান। ক্রমেই বাকবিতন্ডা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিজেপির বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে। স্থানীয় নেতা উত্তম দাস জানান, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁদের কর্মী স্বরাজ। গুলি চলবার অভিযোগ মেনে নেন অর্জুন সিংও। ব্যারাকপুর সাংসদের দাবি তৃণমূল কর্মীরাই গুলি চালিয়েছে, এবং তাতে ‘তৃণমূলের গুন্ডা’ জাভেদ জখম হয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের কথা মেনে নিলেও, গুলি চলবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।