পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে বিজেপিকে রুখতে হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই ‘উপায়’ বাতলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দাবি করলেন, মমতা অনুধাবন করেছেন যে এবার হেরে যাবেন। তাই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের শরণাপন্ন হয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছেন। যিনি দিনকয়েক আগেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন।
রবিবার নিজের খাসতালুক বহরমপুরের একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে অধীর দাবি করেন, রাজ্যপাট হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন মমতা। এমনকী নন্দীগ্রামও হাতছাড়া হওয়ার ভয় চেপে বসেছে মমতার মনে। সেই পরিস্থিতিতে নিজের কুর্সি বাঁচানোর জন্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। তৃণমূলকে হটিয়ে যাতে বাংলার মসনদে বিজেপি বসতে না পারে, সেজন্য মমতা কংগ্রেসের সাহায্য চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন অধীর।
এমনিতে বছর দশেক আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বরাবরই মমতা-বিরোধী অধীর সেই জোটের খুব একটা পক্ষে ছিলেন না। বিশেষত আসন ছাড়া নিয়ে আপত্তি ছিল অধীরদের। শেষপর্যন্ত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে আসনরফা হয়েছিল। নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রীও হন মমতা। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই জোটে ভাঙন ধরে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। এবারও একইসঙ্গে লড়াই করছে বাম-কংগ্রেস।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশের বঙ্গ নির্বাচনে মূল লড়াইটা হতে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির। তা যেন খানিকটা স্বীকার করেই অধীর দাবি করেন যে এককভাবে বিজেপিকে রোখার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের। সেজন্য কংগ্রেসের সহায়তা প্রয়োজন মমতাদের। কীভাবে সাহায্য মিলবে, সেই ‘উপায়’ বাতলে দিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের ২২ টি আসন থেকেই তৃণমূলকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে হবে। সেইসঙ্গে বিজেপি রুখতে কংগ্রেসকে যাতে ভোট দেন, সেই প্রচারও মমতাকে করতে হবে বলে জানিয়েছেন অধীর।