যেখানে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপি সুবিধা করে দেবে ভেবেছিল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল, সেখানে তাদের দলেই ভাঙন ধরে গেল। বিধানসভা নির্বাচনের সূতিকালগ্নে বড় ধাক্কা খেল এআইএমআইএম। কারণ দল ছাড়লেন রাজ্যে সংগঠনের আহ্বায়ক জামিরুল হাসান। শুধু দল ছাড়লেও একটা ব্যাপার ছিল। বরং সরাসরি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করবেন জামিরুল ও তাঁর দলবল বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সুতরাং রাজনৈতিক সমীকরণ রাতারাতি পাল্টে গেল বলে মনে করছেন অনেকে।
বাংলায় নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। ঝটিকা সফরে ফুরফুরা শরিফে এসে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন তিনি। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। তারপর সম্প্রতি তাঁর দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুধু মুর্শিদাবাদ থেকেই প্রার্থী দিয়ে লড়াই করবে তারা। কারণ আব্বাস সিদ্দিকি যোগ দিয়েছেন বাম–কংগ্রেস জোটে। সুতরাং এখন বাং–কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটাই একমাত্র তাদের লক্ষ্য। তাহলেই সুবিধা পাবে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মিম ছাড়লেন রাজ্যে তাদের আহ্বায়ক জামিরুল হাসান। যোগ দিয়েছেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগে। তবে নির্বাচনে লড়াই করছে না তারা। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নন্দীগ্রামেও যাচ্ছেন জামিরুল হাসান। সেখানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ বলে তুলে ধরবেন।
এই বিষয়ে জামিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা অবিজেপি দলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে বলেই তাঁকে সমর্থন করছি। নন্দীগ্রামে গিয়ে দলিত, আদিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের কাছে মমতাকে ভোট দেওয়ার প্রচারও করব।’ নন্দীগ্রামে প্রায় ৪২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, কার ভরসায় দাঁড়াবেন আপনি? ৬২ হাজারের ভরসায় দাঁড়াবেন! পদ্ম তো ২ লক্ষ ১৩ হাজার ভোটের ভরসায়।