রাজ্যের মানুষের জন্য টিকা চেয়েছিলেন তিনি। চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর সোমবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১ মে থেকে খোলা বাজারে করোনার ভ্যাকসিন মিলবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই পাবেন টিকা। আর তা প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী প্রচার থেকে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রশ্ন তোলেন, ‘এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আর কেন্দ্র বলছে খোলাবাজারের করোনার টিকা মিলবে। মিলবে কী করে? এত ভ্যাকসিন কোথায়?’
এদিন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় ১৫ মিনিটের c করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সভা থেকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর কটাক্ষ, ‘দেশ থেকে করোনার ৬৪ শতাংশ ওষুধ বিদেশে পাঠাচ্ছেন। এখন তো মরে গেলেও টিকা পাব না। বিদেশে ওষুধ পাঠাচ্ছেন, নিজের দেশের কথা ভাবলেন না একবারও। খোলাবাজারে ভ্যাকসিন মিলবে বললেই শুধু হবে না। বাজারে টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে।’
আজই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সুতরাং করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ভালভাবে আছড়ে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিষয়টি নিয়েও এদিন কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি থেকে বসে ওঁরা কাজ করবেন। বাড়ি থেকে কাজ মানে তো বুঝতেই পারছেন। সবটাই বিজেপি করবে। এটা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।’