বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার গোপন বৈঠক করল বিজেপি। যেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি প্রথমসারির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিটি সম্প্রদায় এবং পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তবে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই বৈঠকের কথা যেন বাইরে না যায়। এই বৈঠকে তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন যাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ। সেখানে ছোটো ছোটো দল ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই বিজেপির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় এই কাজ করতে হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকটি মূলত গ্রামীণ এলাকাগুলিকে নিয়ে ছিল। এইসব জায়গায় ছোট ছোট দলে মন্ত্রী থেকে দলের শীর্ষ নেতারা যাবেন। বেশ কয়েকটি পেশার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। যথা– ডাক্তার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মানুষজনের সঙ্গে দেখা করবেন। এমনকী বৈঠক করবেন বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সঙ্গে। শিক্ষক, পরিবহন এবং উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত মানুষের সঙ্গেও দেখা করার কথা তাঁদের। তাঁরা কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং দলের দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের সামনে তুলে ধরা হবে।
এমনকী ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষা জগতের সঙ্গে জড়িত মানুষজনের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন বলে খবর। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের ২০০টি আসন চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে পরাদর্শদাতা নিয়োগ করে গবেষণা করা হবে। সেই রিপোর্ট থেকে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্যা উঠে আসবে হাতে। যা বিভিন্ন জনসভায় তুলে ধরা হবে।’ এছাড়া বাড়ি বাড়ি কড়া নাড়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। বনগাঁ, দমদম, বারাসত, দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতায় এই কাজ শুরু হয়েছে।