বিধানসভা নির্বাচন সামনে। তাই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এবার ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল বিজেপি। সোমবার চারু মার্কেট থানার সামনে বিজেপির মিছিলে ‘হামলা’-র ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ করলেন তাঁরা। যদিও এই হামলা করেছে সাধারণ জনতা বলে অভিযোগ। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফের বাংলার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়ে জোরদার সওয়াল করলেন মুকুল রায়। বুধবার নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি।
ঠিক কী ঘটেছিল? সোমবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে বিজেপির রোড শো শুরু হয়। বিশাল লরির ট্যাবলোতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী–সহ অন্যান্যরা। শুরু থেকেই বিরোধিতার মুখে পড়ে মিছিল। প্রথমে চারু মার্কেট থানার সামনে মিছিল পৌঁছলে পাশের গলির মধ্যে জমায়েত থেকে বিজেপি বিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ছিল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তাদের দিকে তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। কয়েক মোটরবাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। আর ‘হামলা’-র প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে রাজভবনে যান মুকুল রায়। দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। সেখানে এই ঘটনা নিয়ে নালিশ করেন তিনি।
বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। রাজভবন থেকে বেরনোর পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুর চড়ান মুকুল। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। বিজেপির নেতা–মন্ত্রীদের উপর হামলা হচ্ছে। ৩৫৬ ধারা জারি ছাড়া উপায় নেই। আজ খেজুরিতে কী হয়েছে, তাও শুনেছেন রাজ্যপাল।’
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার হুটমোড়ায় সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা বিক্ষোভ দেখান। বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে ওই বিক্ষোভের জেরে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি পরিকল্পনা করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। এই বিষয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘সরকার তাদের। প্রশাসন তাদের। গ্রেফতার করুক। বিজেপি এমন কাজ করে না।’