দু'ভাগে ভাগ করে দু'দফায় ভোট হবে। কিন্তু তাতেও শুভেন্দু অধিকারীদের লাভ হবে। দুই মেদিনীপুরের সব আসনেই ফুটবে জোড়াফুল। ঘাটালের রোড শো শেষে এমনই দাবি করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে হুঙ্কার দিলেন, ‘৩১ দফায় ভোট হলেও (৩১ টি আসনেই বিজেপির) জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’
শনিবার ঘাটালের নিমতলা মোড় থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রোড শো করেন অভিষেক। রীতিমতো জনজোয়ারে ভাসতে ভাসতে এগোতে থাকেন ‘দিদির দূত’। ভিড়ের জেরে একেবারে শ্লখ গতিতে যায় অভিষেকদের মিছিল। দীর্ঘ মিছিলের শেষে জনসমাগমে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েন। বলেন, ‘আমি অনেক পদযাত্রা করেছি, অনেক কর্মসূচিতে দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেছি, একাধিক জনসভা করেছি। কিন্তু আজকের পদযাত্রা আমার রাজনৈতিক জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘যাঁরা বলেছিলেন না তৃণমূলকে হারিয়ে ৩৫-০ করবেন, তাঁদের আজ রাতে ঘুম উড়ে যাবে।’
এবার দুই মেদিনীপুরকে দু'ভাগে ভাগ করে দু'দফায় ভোট হবে। তা নিয়েও তোপ দাগেন অভিষেক। সঙ্গে বলেন, 'মেদিনীপুরে কীভাবে ভোট করাচ্ছে, দেখেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরকে দু'ভাগ করেছে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরকে দু'ভাগ করেছে। এর কারণটা কী? একজনের ভোট করতে সুবিধা হবে। আমি বলি, ১৬ টি আসন আছে পূর্ব মেদিনীপুরে, পশ্চিম মেদিনীপুরে আছে ১৫ টি। মোট ৩১ টি। ৩১ দফায় ভোট হোক। তাও জামানত বাজেয়াপ্ত করব। ৩১ দফায় ভোট হলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আপনারা ভাবছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করবে? কন্যাশ্রী, যুবশ্রীরা…ভোট তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা করবেন, বাংলার মানুষরা ভোট করবেন।'
দুই মেদিনীপুরে কবে কোথায় কোথায় ভোট?
১) প্রথম দফা (২৭ মার্চ) : পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেঁজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরা, দাঁতন, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, কেশিয়ারি, খড়্গপুর, গড়বেতা, শালবনি এবং মেদিনীপুর।
২) দ্বিতীয় দফা (১ এপ্রিল) : তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, খড়্গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা এবং কেশপুর।