বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে না হতেই শুরু হল অশান্তি। শুক্রবার রাতের দিকে বেলেঘাটার কাদাপাড়ায় বিজেপির 'পরিবর্তন যাত্রার' ট্যাবলোয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলইডি স্ক্রিন, ল্যাপটপ চুরিরও অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
শুক্রবার রাতে কাদাপাড়ায় বিজেপির একটি ভাড়া করা গুদামে গতরাতে হামলা চালায় ১৫-২০ জনের একটি দল। ছয় থেকে সাতটি ট্যাবলোয় ভাঙচুর চালানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। গুদামের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয়। রেয়াত করা হয়নি ট্যাবলোর চালক-খালাসিদের। একইসঙ্গে একাধিক এলইডি স্ক্রিন ভেঙে ফেলার পাশাপাশি কয়েকটি এলইডি স্ক্রিন এবং ল্যাপটপও চুরি করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গেরুয়া শিবির। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবিয়া। তাতে ভাঙচুর বা হামলার দৃশ্য ধরা না পড়লেও একদল লোককে বিজেপির ট্যাবলোর আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের আমদানি করা রাজনৈতিক হিংসার সংস্কৃতির জন্য এবারের ভোট নির্বাচন কমিশনের কাছে কঠিন হতে চলেছে। একইসুরে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, পাড়ায়-পাড়ায় দূত পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁরা পাড়ায় হিংসা ছড়াচ্ছেন।
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল দাবি করেন, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। সেখানে তৃণমূলের কোনও কর্মী বা নেতা হামলা চালায়নি। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছেন, ঘটনায় তৃণমূলের যোগ নেই। পুলিশের তদন্তে প্রকৃত দোষীদের নাম বেরিয়ে আসবে।