তৃণমূল কংগ্রেসের দরবারে নড়েচড়ে বসল দেশের নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের দিল্লির কার্যালয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সৌগত রায় এবং সর্বভারতীয় পদের নেতা যশবন্ত সিনহা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তাঁরা বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এমনকী ফের বাংলায় এসে ফুলবেঞ্চ প্রাপ্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিন বৈঠক শেষে যশবন্ত সিনহা সাংবাদিকদের জানান, ‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে চোট লেগেছে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কমিশন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। যদি সেই তদন্ত ২ মে’র মধ্যে সমাপ্ত না হয় তাহলে সরকার গঠনের পর কী করা যায় তা দেখা হবে। এছাড়া বাংলার নির্বাচন যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।’
সূত্রের খবর, আগামী ২৩ মার্চ বাংলায় ফের আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। তারা উত্তরবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবে। আর দক্ষিণবঙ্গের প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। তার মধ্যে এদিন কমিশনে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকে দিয়ে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুতরাং সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষের পর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে বুথের ১০০ মিটার দূরত্বে থাকে সেকথা বলা হয়েছে। সমস্ত কেন্দ্রে ভিভিপ্যাট রাখার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে ফলোআপ বৈঠক করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে আঘাত নেমে এসেছে তাতে কমিশন মনে করছে না এটা একটা দুর্ঘটনা। এমনকী তারা এটাও বলছে না যে এটার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’