বেলেঘাটার ফুলবাগান কাদাপাড়ায় বিজেপি–র ‘পরিবর্তন যাত্রা’র ট্যাবলোয় ভাঙচুরের অভিযোগে রবিবার পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিনই ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে কাদাপাড়ায় বিজেপি–র একটি ভাড়া করা গুদামে হামলা চালায় ১৫–২০ জনের একটি দল। ৬–৭টি ট্যাবলোয় ভাঙচুর চালানো হয়। এলইডি স্ক্রিন, ল্যাপটপ চুরিরও অভিযোগ উঠেছে।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। গুদামের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয়। রেয়াত করা হয়নি ট্যাবলোর চালক–খালাসিদের। একইসঙ্গে একাধিক এলইডি স্ক্রিন ভেঙে ফেলার পাশাপাশি কয়েকটি এলইডি স্ক্রিন এবং ল্যাপটপও চুরি করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এমনকী ফুলবাগান কাণ্ডের জল গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। এই ঘটনায় ফুলবাগান থানার ওসি কার্যত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে বিজেপি–র প্রতিনিধিদল। তাঁরা কমিশনকে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করাই শুধু নয়, এফআইআরে চুরির কথাও উল্লেখ করেনি পুলিশ। শনিবার কমিশনে নালিশের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
উল্লেখ্য, ‘পরিবর্তন যাত্রা’র ট্যাবলোয় ভাঙচুর চালানোর ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি–র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাতে ভাঙচুর বা হামলার দৃশ্য ধরা না পড়লেও একদল লোককে বিজেপি–র ট্যাবলোর আশপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের আমদানি করা রাজনৈতিক হিংসার সংস্কৃতির জন্য এবারের ভোট নির্বাচন কমিশনের কাছে কঠিন হতে চলেছে। একইসুরে বঙ্গ বিজেপি–র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, পাড়ায়–পাড়ায় দূত পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁরা পাড়ায় হিংসা ছড়াচ্ছেন।