প্রকোপ কমেছে। তবে একাধিক রাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য এবং পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনেও সতর্কতা বজায় রাখার পথে হাঁটল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একনজরে দেখে নিন বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত বড় সিদ্ধান্তগুলি -
নিয়ম মেনে রোড শো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি গাড়ির পর কনভয়ে ফাঁক থাকবে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থী-সহ পাঁচজন প্রচার করতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে দু'জন থাকতে পারবেন। গাড়িও সর্বোচ্চ দুটি রাখা যাবে।
প্রতি বুথে সর্বোচ্চ ভোটার ১,০০০। সব বুথ বাধ্যতামূলকভাবে নিচের তলে হবে।
বিহার নির্বাচনে ভোটদানের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল। সেই মডেল মেনে এবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্য এবং পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনেও ভোটদানের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে একজন সাধারণ পর্যবেক্ষক পাঠানো হচ্ছে। একমাত্র রাজ্য হিসেবে দু'জন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কমিশন। দু'জন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের জন্য বিএসএফের হেলিকপ্টারের বন্দোবস্ত করা হবে। তাঁরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন।
সব স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। একটি কমিটি থাকবে, যে কমিটি নির্ধারণ করবে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী কেমনভাবে মোতায়েন করা হবে। তাতে কমিটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার এবং রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমন্বয়কারী থাকবেন। তাঁরা নির্বাচনের সুরক্ষা পরিকল্পনাও তৈরি করবেন। রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবেন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। আর জেলায় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে সাধারণ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষকের অনুমোদন লাগবে। সব স্পর্শকাতর বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে।
৮০ ও তার বেশি বয়স্ক, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা (মেট্রো পরিষেবা) পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত, সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং নিভৃতবাসে থাকা মানুষের জন্য পৃথক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।