কেশিয়ারিতে নিজের পায়ের আঘাত নিয়ে তেমন কিছু বলেননি। গড়বেতায় বলেছিলেন, পায়ে এখন রক্ত জমাট বেঁধে আছে। কিন্তু কলাইকুন্ডার সভা থেকে তাঁর উপর হামলার তত্ত্ব তুলে ধরলেন তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আমার পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমি না বেরলে বাংলা দখল করে নেবে বিজেপি।’ বাংলার নেত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে মুহূর্তের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিন রাজ্য সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেদিনই তৃণমূল নেত্রী তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। কারণ বিজেপি দুঃসহ গরমের থেকেও দুঃসহ অত্যাচার শুরু করেছে। বিজেপিকে বাংলা দখল করতে দেওয়া যাবে না। তাই পায়ে ব্যথা নিয়েই মা–বোনেদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’ একদিকে যখন পুরুলিয়ায় সোচ্চার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্যদিকে, তখন ম্যারাথন তিন সভা গড়বেতা, কেশিয়ারি ও কলাইকুণ্ডা থেকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী।
কেশিয়ারিতে মমতা আক্রমণ করে বলেন, ‘বাংলায় গুন্ডা নয়। কেশিয়ারি কেশিয়ারিতে থাকবে। বিজেপি চায় বাইরের গুন্ডা পাঠিয়ে বাংলাকে দখল করতে। আপনারা কী চান বাড়ি–দোকান দখন হয়ে যাক। আগামী মে মাস থেকে সব বিধবারাই ভাতা পাবেন। বিজেপির আর একটা গেম প্ল্যান আছে তা হল–এনপিআর। ভোট না দিলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে বলবে তুমি বাদ। আমরা এনপিআর বাংলায় করতে দিইনি। বিজেপিকে বলুন তোমাদের দূর করে দিলাম। বাইরের গুন্ডারা এসে ভয় দেখাচ্ছে। খুনিদের মাস্টার। সামনে হরি হরি পেছনে ডাকাতি করি।’
খড়গপুরের কলাইকুন্ডার সভা থেকে আঘাত লাগার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আঘাত আগেও লেগেছে। আমার মাথায় ৪৬টা সেলাই পড়েছে। চোখে অপারেশন হয়েছে। কারণ আমাকে গুলি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোমরে লাঠির বাড়ি মেরেছিল এখনও বেল্ট পড়তে হয়। দু’হাত ভেঙে দিয়েছিল। পা বাকি ছিল। এখন সেটাও গুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল।’ বিজেপিকে তুলোধনা করে জনগণকে বার্তা দেন, ওরা ভোট লুঠের চেষ্টা করলে হাতা–খুন্তি নিয়ে তেড়ে যান। ভোটের দিন মেশিন খারাপ করে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিতে চাইবে। তখন কারও দেওয়া চা–বিস্কুট, কিছু খাবেন না। কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দিতে পারে।