তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিলেন বিজেপির 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'। এবার প্রথম সাক্ষাতেই রাজীব মুখোপাধ্যায়ের পিঠ চাপড়ে দিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তাতে কিছুটা আপ্লুতও হয়ে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
রবিবার হলদিয়ায় যখন ভাষণের জন্য রাজীবের ডাক পড়ে, তখনই হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নামছিল মোদীর হেলিকপ্টার। ফলে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন রাজীব। মূলত মোদী আসার সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মোদী এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করে যান। ভাষণের পরে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল মোদীর। তবে দুই কর্মসূচির মধ্যে কিছুটা ব্যবধান ছিল। সেই সময় বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন মোদী। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্ভবত রাজীবের সঙ্গে মোদীর পরিচয় করিয়ে দেন। এগিয়ে আসেন রাজীব। তাঁকে দেখে রীতিমতো উৎসাহিত দেখায় মোদীকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় রাজীবের পিঠ চাপড়ে দেন। রাজীব প্রণাম করতেও যান। পুরোপুরি অবশ্য করতে পারেননি। সম্ভবত মোদীই আটকে দেন। তারপর আবারও ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের পিঠ চাপড়ে দেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন মোদী। পরে সরকারি অনুষ্ঠানের হ্যাঙারে যাওয়ার আগে আবার রাজীবের পিঠ চাপড়ে দেন। তাতে দৃশ্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন রাজীব।
তবে রাজীবের প্রতি মোদীর বিশেষ 'স্নেহ' দেখে একেবারেই অবাক নয় রাজনৈতিক মহল। বরং প্রথম থেকেই তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নেতাদের মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন শুভেন্দু এবং রাজীব। একেবারে মেদিনীপুরে এসে শুভেন্দুর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের কারণে রাজীবের যোগদানের সময় অবশ্য রাজ্যে আসতে পারেননি। কিন্তু রাজীবের জন্য বিশেষ বিমান পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই বিমানে করে দিল্লিতে গিয়ে শাহের বাসভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব। তাই মোদীর পিঠ চাপড়ানো রাজীবকে সেই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর অংশ বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।