রবিবাসরীয় ব্রিগেড সমাবেশের পর ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই বিজেপি দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ১৮ মার্চ ও ২০ মার্চ আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ মার্চ পুরুলিয়া এবং ২০ মার্চ কাকদ্বীপে নির্বাচনী প্রচার সভা করার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশের ১১ দিনের মাথায় রাজ্য সফরে আসছেন তিনি। সূত্রের খবর, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিতেও সভা করতে পারেন।
জানা গিয়েছে, ব্যাক–টু–ব্যাক দু’দিন নির্বাচনী প্রচার চালাবেন তিনি। এই নির্বাচনী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ২০টি সভা ও র্যালি করার কথা। সেরকমভাবেই কর্মসূচি ঠিক হচ্ছে। ব্রিগেড দিয়ে শুরু হল। এবার জেলায় জেলায় যাবেন তিনি। কাঁথিতে সভা করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপর ঠিক হয়েছে কাঁথিতে সভা করার। সেক্ষেত্রে কাকদ্বীপ বাদ পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় মোট ২০টি সভা করবেন। যার প্রথমটি ছিল রবিবারের বিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। এখনও আরও ১৯টি সভা বাকি। এই ১৯টি সভার মধ্যে দুটি হতে চলেছে পুরুলিয়া ও কাকদ্বীপে। এছাড়াও থাকছে অমিত শাহ ও জেপি নড্ডার সমাবেশ। তাছাড়া পুরুলিয়া বিজেপির শক্তঘাঁটি। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত ভাল ফল করেছে বিজেপি। তাই সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠায় নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে।
এখন নন্দীগ্রাম হল নজরকাড়া কেন্দ্র। সেখানে সম্মুখসমরে লড়াই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতে অক্সিজেন জোগাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই ফের বাংলা সফর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। আর নিজের কেন্দ্র ছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা নির্বাচনী প্রচারে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে পৃথক হেলিপ্যাড তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে।