শ্যামপুকুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সন্দীপন বিশ্বাস কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলেও পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।বৃহস্পতিবার তিনি যখন বিভিন্ন বুথে ঘুরছিলেন, তখন তাঁকে এক তৃণমূল কর্মী বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলেন।ওই তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ ছিল, তিনি যেহেতু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।কিন্তু বিজেপি কর্মী তা শোনেননি।এলাকার অন্যান্য বুথ ঘুরে দেখেন।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ যখন শ্যামপুকুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে যান, তখন তাঁকে তৃণমূলের এক কর্মী বুথে ঢুকতে বাধা দেন।ওই কর্মী জানান, সন্দীপনবাবু করোনায় আক্রান্ত।তাই তিনি বুথে ঘুরতে পারবেন না।উত্তরে সন্দীপনবাবু ওই তৃণমূল কর্মীকে বলেন,‘গতকালই তিনি ফের তৃতীয়বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন।তাঁর টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’ কিন্তু তৃণমূলের ওই কর্মী কোনও যুক্তিই মানতে চাননি বলে অভিযোগ।ওই তৃণমূল কর্মী তখন বিজেপি প্রার্থীকে জানান, নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।বিজেপি প্রার্থী তখন প্রশ্ন তোলেন, পজিটিভ রিপোর্ট হলে তো কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রশ্ন আসে।নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও কেন তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে?উল্লেখ্য, শ্যামপুকুরের বিজেপি প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে বুথে বুথে ঘুরছেন এই অভিযোগ তুলে টুইটে এক ব্যক্তিকে পোস্টও করতে দেখা যায়।এরপরই খবরটি প্রকাশ্যে আসে।
বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, আসলে তৃণমূল এখন বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করে পেরে উঠছে না।তাই এখন অরাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে এনে ভোটে জিততে চাইছে।বিজেপি প্রার্থী জানান, তাঁকে এভাবে বাধা দেওয়া হলেও তিনি বিষয়টি বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কাউকেই জানাননি।এলাকার অন্যান্য বুথ পরিদর্শন করে মনীন্দ্র কলেজে নিজের ভোট দিতে চলে যান।