মাথায় নীল রঙের হেলমেট। হেলমেটের সামনে তারজালি দেওয়া গার্ডও রয়েছে। মুখে মাস্ক। ভোটের দিন মন্তেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে এই রূপেই দেখা গেল বুথে বুথে ঘুরতে। তাঁর অভিযোগ মন্তেশ্বর বিধানসভার ভুরকুন্ডা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু হেলমেট পরে কেন ভোট কেন্দ্রে? তৃণমূল প্রার্থী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘আমি হেলমেট পরেছি। বিজেপির ছেলেরা আমাকে খুন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আমাকে ইট পাটকেল মেরে ঘায়েল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেকারণে আত্মরক্ষার জন্য যাতে ভালোভাবে ঘুরতে পারি সেজন্য হেলমেট পরেছি। বিভিন্ন জায়গায় বুথে দেখেছি পর্যাপ্ত আলো নেই। বুথে আধা সামরিক বাহিনী লাঠিচার্জ করেছে। তৃণমূলকে ছত্রভঙ্গ করতে ওরা লাঠিচার্জ করেছে। বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ওরা কিছু বলেনি’।
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘সকালে ইভিএম মেশিনে যখন মকপোল হয় তখন তৃণমূলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সিপিএম ও বিজেপি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে এসব করেছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমাদের প্রতিনিধি ছিল না। বুথের বাইরে আমাদের টিএমসি কর্মীদের টাঙি দিয়ে মারধর করা হয়েছে। ওদের খুন করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। পুলিশ এসেও কোনও কাজ হয়নি’।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে এবারের ভোটে বার বারই শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা হেলমেটকেই মাথা বাঁচানোর জন্য আঁকড়ে ধরছেন। কোচবিহারের নাটাবাড়িতেও দেখা গিয়েছিল হেলমেট পরে বুথে বুথে ঘুরছেন বিদায়ী মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। হেলমেট পরে ভোটের দিন ঘুরেছিলেন তৃণমূল নেতা নির্মল মাজিও। তবে শুধু মন্ত্রী নয়, পূর্ব বর্ধমানে এক ভোটারকেও দেখা গিয়েছে হেলমেট পরে ভোটের লাইনে। তিনি অবশ্য করোনার হাত থেকে বাঁচতে হেলমেট পরেন বলে তাঁর দাবি।