নিজের হলফনামায় ছ'টি ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন, তথ্য লুকিয়ে যাওয়ার জন্য মমতার মনোনয়ন বাতিল করা হোক। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পালটা দাবি, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বুঝে এসব অভিযোগ করছেন শুভেন্দু।
সোমবার শুভেন্দু দাবি করেন, ২০১৮ সালে মমতার বিরুদ্ধে অসমে পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছিল। সিবিআইয়ের কাছেও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল একটি ফৌজদারি মামলা। কিন্তু গত ১০ মার্চ হলদিয়ার মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মমতা যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে সেই মামলাগুলির বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। সেজন্য কমিশনে নালিশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের রিটার্নি অফিসারের সেই অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পাল। বিকেলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা।
শুভেন্দুর কথায়, ‘নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ছ'টি মামলা আছে। ২০১৮ সালে পাঁচটি মামলা অসমে এবং একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) কাছে। মোট ছটি কেসের উল্লেখ করেননি। নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়, তারপর দেখা যাবে।’
যদিও শুভেন্দুর অভিযোগকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, নন্দীগ্রামে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় এইসব অভিযোগ করছেন। তাতে কোনও লাভ হবে না। একইসঙ্গে তিনি জানান, যে কোনও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে। কিন্তু কোন নোটিস না পাঠালে সেই সংক্রান্ত তথ্য হলফনামায় জমা দেওয়া সম্ভব নয়।