প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হুগলি জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্যপদ এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। আর তার পরপরই তাঁকে শোকজ করল দল। দলবিরোধী মন্তব্য করার জেরেই প্রবীর ঘোষালের জেরে এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।
এদিন হুগলি জেলা তৃণমূলে থাকা তাঁর সমস্ত ত্যাগ করে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ, ‘একটা চক্র কাজ করছে যাতে তৃণমূলের ভাল লোক কাজ করতে না পারে। এখানে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে যাতে আমাকে হারিয়ে দেওয়া যায় সেরকম একটা চক্র কাজ করছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর নির্দেশও দলে মানা হচ্ছে না।’
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের পর ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে দল। তার পর থেকে দলে আরও সমস্যা বেড়েছে বলেই মত প্রবীর ঘোষালের। তাঁর অভিযোগ, ‘পিকে–র কাজকর্মে হুগলিতে দলে কোনও উন্নতি হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। বরং ঝগড়াঝাটি বেড়েছে। ভাল লোকজন এই দলে থাকতে পারবে না।’
সাংবাদিক বৈঠকে এই সব মন্তব্য করার কিছুক্ষণ পরেই শোকজ করা হয়েছে প্রবীর ঘোষালকে। সূত্রের খবর, শোকজের চিঠিতে জবাব তলব করা হয়েছে, কেন প্রকাশ্যে এরকম দলবিরোধী আচরণ করা হয়েছে? এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গণমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলার পর দল থেকে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল।