যা কিছু ট্রেন্ডিং, যা কিছু লোকের মুখে মুখে, তার সবটাই এখন হয়ে যাচ্ছে ভোটের বঙ্গ জীবনের অঙ্গ। বিপুল জনপ্রিয় ‘টুম্পা সোনা’ গানটির প্যারোডি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারের মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। আবার ইতালির ধানখেতের শ্রমিকদের গান ‘বেলা চাও’–এর আদলে বঙ্গ বিজেপি তৈরি করেছে ‘পিসি যাও’ প্যারোডি। আর এবার বিজেপি–কে ‘পাওরি’ (পার্টি) খোঁচা দিল রাজ্যের শাসকদল। পাক তরুণীর ‘পাওরি হো রহি হ্যায়’–কে অবলম্বন করে বিজেপি–র ‘পরিবর্তন যাত্রা’কে কটাক্ষ করল ঘাসফুল শিবির।
‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজ্যের কোনও এক জায়গায় একটি ছোট জনসভা করে বিজেপি। সেই সভারই একটি ছবি ২১ ফেব্রুয়ারি, রবিবার টুইট করা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচির ব্যানারে ওই জনসভার সামনের চেয়ারগুলি খালি। মঞ্চে গেরুয়া শিবিরের নেতারা ভাষণ দেওয়ার জন্য তৈরি। কিন্তু কোনও লোকজন নেই সভায়। সব চেয়ার ফাঁকা। তবে একজনকে দেখা গিয়েছে একেবারে সামনের সারিতে ছাতা মাথায় বসে থাকতে।
সেই ছবিটি টুইট করে তৃণমূল লিখেছে, ‘ইয়ে বেঙ্গল বিজেপি হ্যায়। ইয়ে উনকি জনসভা হ্যায়। অউর ইহা ইনকি পাওরি হো রহি হ্যায়।’ অর্থাৎ, ‘এটা বঙ্গ বিজেপি। এটা ওদের জনসভা আর এখানে ওদের পাওরি হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পাক তরুণী দানানির মোবিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ইয়ে হামারি কার হ্যায়, অউর ইয়ে হাম হ্যায়। অউর ইয়ে হামারি পাওরি হো রহি হ্যায়।’ সেই ভাইরাল ভিডিও–র সৌজন্যে পার্টির উচ্চারণ বদলে হয়ে গিয়েছে ‘পাওরি’। পুরো ব্যাপারটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। এবার সেই প্রবণতাকেই হাতিয়ার করে বিজেপি–কে বিঁধল তৃণমূল।