শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বেশি কথা নির্বাচন কমিশন না বললেও তারা যে ব্যাকফুটে গিয়েছে তা একপ্রকার পরিষ্কার। তাই রাতেই নির্দেশিকা জারি করে প্রচার শেষের নিয়ম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আবার ৭২ ঘন্টা কোন রাজনৈতিক নেতা–নেত্রী কোচবিহারে যেতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে বাকি চার দফা বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আসতে চলেছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী। সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে শীঘ্রই আরও ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় আসছে। আর তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী হিংসা আরও বাড়বে?
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শীতলকুচির ঘটনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় পাঠানো হবে। এমনকী জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যে আসছে ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে থাকছে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১৩ কোম্পানি আইটিবিপি, ৯ কোম্পানি এসএসবি এবং ৪ কোম্পানি সিআইএসএফ। বাকি চার দফার ভোটে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। তারপর বাকি তিন দফার নির্বাচন রয়েছে ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল। ২ মে ভোটগণনা। এই শেষ চার দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতেই আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আনতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে ততই অশান্তি বাড়ছে। শীতলকুচির জোড়পাটকিতে সিআইএসএফ জওয়ানদের গুলিতে মারা যান চারজন। আর এই গুলি চলার ঘটনাতেই তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। তাই বাকি চার দফা শান্তিপূর্ণ হবে কিনা তা সময়ই বলবে।