কোভিড পরিস্থিতিতে যখন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তখন ৮ দফায় ভোট করানো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।৮ দফায় ভোট করানোর পিছনে বিজেপিকে দায়ী করে তৃণমূল নেত্রী বলেন,‘চারিদিকে যখন কোভিড হচ্ছে, তখন এই সময় উচিত ছিল ৩–৪ দফায় ভোট করে শেষ করিয়ে দেওয়া। তা না করে ৮ দফায় ভোট করাচ্ছে।করোনার মধ্যেও এই রাজ্যের পরিস্থিতি তাও নিয়ন্ত্রণে আছে।নির্বাচন যখন শুরু হয়েছে, তখন নির্বাচন শেষ করতে হবে।’
একইসঙ্গে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেও আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর মুখে। চুচূড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার (তপন) ও সপ্তগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্তের নাম করেই নেত্রী এদিন বলেন,‘দুই তপনই দুষ্টু মিষ্টি, আমি জানি। তপনকে যদি আপনারা ভুল বুঝে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। আমি নিজে কাউন্সেলিং করেছি। ওদের জেতান। এমন কিছু করবে না যাতে ক্ষতি হয়।’
এদিন বিজেপিকে চোরেদের দল বলেও ফের কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপি স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করে না। যে এমপি হয়েছে, সেই এবার এমএলএতে দাঁড়িয়েছে।এরপর তো স্কুল বোর্ডের ইলেকশনে দাঁড়াবে। টাকার জন্য প্রার্থী হয়েছে।বিজেপি যে প্রার্থী হয়েছে, সে ভোট চাইতে এলে বলবেন, ৯০০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হচ্ছে, তোমায় কেন ভোট দেব।বিনা পয়সায় গ্যাস দিন।বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সারদায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেত্রী বলেন, সারদা, নারদায় যারা জড়িত, তারাই তো এখন বিজেপির কোলে গিয়ে বসে আছে।এখানকার বিজেপি প্রার্থীই তো সারদার গলার লকেট।এদিন তিনি সভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না। তৃণমূলকে হুগলি থেকে জেতান।আমি তো জিতব। কিন্তু এখানকার প্রার্থীদেরও জিততে হবে।তিনি এদিন সাফ জানিয়ে দেন, গুজরাটিদের বাংলা শাসন করতে দেব না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে।