মুসলমানও এখন ওর সঙ্গে নেই, বাংলায় দিদির হার নিশ্চিত। মঙ্গলবার রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন কোচবিহারে এক জনসভায় এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেন, বিজেপি যদি হিন্দুদের একজোট হতে বলতো তাহলে কমিশন এতক্ষণে ৮ – ১০টা নোটিশ পাঠিয়ে দিত।
এদিন শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। বলেন, ‘প্রথম দু’দফার ভোটগ্রহণে দিদির বিদায় নিশ্চিত। আজও ভাল ভোট হচ্ছে। বাংলায় বিজেপির এমন ঢেউ উঠেছে যাতে দিদির গুন্ডা, দিদির ভয় পাড়ে লুটোপুটি খাচ্ছে’।
মোদী বলেন, ‘দিদি প্রশ্ন করেছেন, বিজেপি ভগবান না কি? কী করে জানল যে তারা জিততে চলেছে’? মোদীর জবাব, ‘ভোটে কে জিতছে বুঝতে ভগবান হতে হয় না। জনতাকে দেখেই বোঝা যায় ফল কী পারে। তারাই তো ঈশ্বরের রূপ। আপনার রাগ – ক্ষোভ- ব্যবহার – ভাষা দেখেই কোনও শিশুও বলে দেবে তৃণমূল হারছে’।
মমতাকে মোদীর চ্যালেঞ্জ, ‘আপনি হেরে গেছেন। ময়দানের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। রোজ আপনাকে বলতে হচ্ছে নন্দীগ্রামে জিতবো। নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বসে আপনি যে খেলা খেলেছেন, সেদিনই গোটা দেশ বুঝে গিয়েছিল আপনি হারছেন’।
এর পরই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন মোদী। বলেন, ‘সম্প্রতি আপনি বলেছেন, সব মুসলমান একজোট হও। ভোট যেন ভাগ না হয়। আপনি একথা বলছেন কারণ আপনি জানেন যে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কেকে আপনি নিজের শক্তি মনে করতেন তারাও আপনার হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। মুসলিমও আপনার থেকে দূরে চলে গিয়েছেন। আপনাকে প্রকাশ্যে একথা বলতে হচ্ছে মানে আপনি ভোটে হেরে গেছেন’।
এর পর ঘুরিয়ে কমিশনকেও বেঁধেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘যদি এর উলটোটা হতো। যদি বিজেপি বলত যে সব হিন্দু একজোট হয়ে আমাদের ভোট দেও। তাহলে নির্বাচন কমিশন এতক্ষণে ৮ – ১০টা নোটিশ পাঠিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রী, দলের সভাপতি, প্রার্থী সবার কাছে নোটিশ যেত। দেশ – বিদেশের সংবাদপত্রে শুধু এই খবরই থাকত। সম্পাদকীয় পাতায় এতক্ষণে আমাদের চুল ছিঁড়ে নিতেন সাংবাদিকরা’।
এর পরই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক মমতার পাশ থেকে সরে গিয়েছে বলে দাবি করেন মোদী। বলেন, ‘আপনাকে নির্বাচন কমিশন নোটিশ পাঠিয়েছে কি না জানি না। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে যাদের ভরসায় আপনি ভোটে লড়তে নেমেছিলেন তারা আর আপনার সঙ্গে নেই। তাই প্রকাশ্যে আপনাকে বলতে হচ্ছে, মুসলমান একজোট হও। আমাকে বাঁচাও’।