একটা সময় পর্যন্ত মানুষ সেই অর্থে স্বজনপোষণ বলুন বা নেপোটিজম এসব নিয়ে তেমন চর্চা করতেন না। কিন্তু জিনিসটা প্রথমবার কফি উইথ করণের সেটে উসকে দেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর এবং করণের তর্কাতর্কির মধ্যে দিয়ে বিষয়টা চর্চা উঠে আসে যা পরবর্তীকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর অনেক গুণ বেড়ে যায়। বলিউডে নাকি স্টার কিডরা বেশি গুরুত্ব পান, সুযোগ পান। তাঁরা নাকি সহজেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেতে পারেন। বাড়ি বসে তাঁদের কাছে অফার আসে। যাঁরা এই ফিল্মি জগতের নয়, তাঁদের মধ্যে যতই গুণ থাকুক তাঁদের এই দুনিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে কালঘাম বেরিয়ে যায়, ইত্যাদি সহ নানা ধরনের চর্চা চলত থাকে। এবার একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বললেন অভিষেক বচ্চন।
ইটাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন সম্প্রতি নেপোটিজিম নিয়ে কথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না কিন্তু মিডিয়া এই একটা শব্দ খুঁজে পেয়েছে যা তাঁরা যেখানে খুশি ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে থাকেন। ভুল ধারণা নিয়ে থাকবেন না। সংখ্যা দেখুন। সংখ্যা কোনওদিন মিথ্যে বলে না। কে কী মনে করল, কার ধারণা কী তাতে কিছু যায় আসে না। ফ্যাক্ট ম্যাটার করে একমাত্র।'
এরপর তিনি আরও বলেন, 'দুঃখের বিষয় কী জানেন? একজন স্টার কিড জানেন যে তাঁকে কোন কারণে ছবিতে নেওয়া হচ্ছে। তাঁর গুণ বা অভিনয়ের দক্ষতার জন্য যে সে কাজটা পায়নি সেটা সে জানে। প্রথম ছবি বা কাজ পেতে হয়তো তাঁর সত্যিই সুবিধা হয়। কিন্তু তারপর কী করে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে, কী করে নিজেকে আরও উন্নত করতে হবে সেটা নিয়ে অভিনেতাকে ভাবতেই হয়।'
এরপর তিনি সোজাসুজি এই নেপোটিজম বিতর্ককে আক্রমণ শানান এবং বলেন ‘যাঁদের ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন তাঁদের মধ্যে কতজন সফল আর স্টার কিডদের মধ্যে কতজন সফল শুধু এই সংখ্যাটা দেখুন। বাকি কথা এখানেই শুরু এখানেই শেষ। কতজন স্টার কিড জীবনে সফল হয়েছেন সেই পরিসংখ্যানটা দেখুন বাকি আলোচনা ওখানেই থেমে যাবে।’
প্রসঙ্গত আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ জুন বলিউডে অভিষেকের ৩০ বছর পূর্ণ হবে। করিনা কাপুর খানেরও। তাঁরা দুজন একই সঙ্গে ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ ছবির মাধ্যমে এই সিনে জগতে পা রেখেছিলেন। ছবিটি সেই বছরের ৩০ জুন বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল।