পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাঞ্চন মল্লিকের দাম্পত্য সমস্যার আঁচ এখন পৌঁছে গিয়েছে ঘরে ঘরে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় গরম গরম আপডেট পাচ্ছেন আমজনতা। ‘কৃষ্ণকলি’র রাধারানী খ্যাত শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে প্রেম-সম্পর্কে (পড়ুন বিবাহ বহির্ভূত) জড়িয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, এমটাই দাবি করেছেন স্ত্রী পিঙ্কি। সঙ্গে ছেলের খোঁজ নেন না অভিনেতা বলেও মিডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি। শ্রীময়ী ও কাঞ্চনের বিরুদ্ধে থানায় FIR-ও দায়ের করেছেন তিনি।
শনিবার চুপ থাকলেও রবিবার থেকে গোটা ঘটনা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। সবাইকে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিয়ের ২০ দিনের মধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে পিঙ্কি। তখন থেকে সেখানেই থাকেন। এমনকী, কাঞ্চনের মা-বাবা মারা যাওয়ার পরেও তিনি অভিনেতার পাশে এসে দাঁড়াননি।
টিভি হোক বা সিনেমা পরদায় কাঞ্চন মল্লিক মানেই হাসির ছটা। কিন্তু অভিনেতার দাবি সবাইকে হাসানো মানুষটাই নাকি আজ ‘একা বন্ধ ঘরে হাউ হাউ করে কাঁদছেন’। রাস্তায় বের হতে পারছেন না। জানেন না নিজের দল তৃণমূলের সদস্যদের কী করে মুখ দেখাবেন। কী কৈফিয়ত দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যাঁরা তাঁর ওপর ভরসা করে তাঁকে বিধায়ক পদে দাঁড়িয়ে ভোটে জেতার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন জানিয়েছেন, ‘বিধায়ক পদে জেতার পর মিষ্টির বাক্স হাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। পরের দিন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পিঙ্কির আক্ষেপ, জাত অভিনেতার অপমৃত্যু হল! আমার জয়ে তার এই মন্তব্য? এর পরেই কিন্তু একাধিক দাবি-দাওয়ার ঝুলি খুলে বসে আমার স্ত্রী। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁকে। চাকরিও করে দিতে হবে ছেলের আয়ার ভাইকে! এত দাবি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব? বিধায়ক হলেও আদতে আমি তো ছা-পোষা অভিনেতা।’
কাঞ্চন মল্লিকের দাবি, প্রতি সপ্তাহে ছেলের পছন্দসই রান্না নিজে রেঁধে নিয়ে যেতেন শ্বশুরবাড়িতে। সবার জন্মদিন পালন করেতেন। তাঁকে মদ্যপ বলেছে পিঙ্কি, এদিকে পিঙ্কির গোটা পরিবারের সবাই নাকি প্রতিটা অনুষ্ঠানে মদ ছাড়া চলতে পারেন না। আর সেটার যোগানও দিতেন কাঞ্চনই। সঙ্গে, গত লকডাউনে ২ লক্ষ টাকা আর রেশন পাঠিয়েছেন শ্বশুরবাড়িতে। সেই সাপেক্ষে তাঁর কাছে প্রমাণও আছে। জানান, ‘এই মিথ্যে অপবাদ থেকে রক্তমাংসের কাঞ্চন মল্লিক মুক্তি চাইছে। পিঙ্কি তুমি নিশ্চিন্তে থাক, ছেলের সব দায়িত্ব আমার। এবার আমায় মুক্তি দাও।’