সালটা ২০২০, ১৫ অগস্ট পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী মানালি দে। যদিও মানালি ও অভিমন্যু তাঁদের বিয়েতে কোনও জাঁকজমক করেননি। পরিবারের কয়েকজনের উপস্থিতিতে নেহাতই ছিমছাম আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। তবে বিয়ের আড়াই বছর পর হঠাৎ স্বামী অভিমন্যুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানালি। হঠাৎ কী এমন ঘটল তাঁদের মধ্যে?
মানালির অভিযোগ, বিয়ের আড়াই বছর কেটে গেছে এখনও তাঁকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটাতেই যাননি স্বামী অভিমন্যু। সম্প্রতি দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। শোয়ের সঞ্চালিকা, অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মানালিকে প্রশ্ন করেন, ‘বিয়ের পর দু'বছর কেটে গেছে, অভিজ্ঞতা বাড়ছে, বয়স বাড়ছে ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর কী খবর?’ উত্তরে কথা ঘুরিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ফ্যামিলি আছে তো, এই তো আমি, বাবা, দাদু, শ্বশুর, শাশুড়ি, অভি, অভির দাদা, আর আমার পোষ্য, এই তো পরিবার।' রচনা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘সূত্রধর কোথায়?’ উত্তর এড়াতে উপস্থিত অন্যদের দিকে দেখিয়ে দেন মানালি। বলেন.'আমি তো তাও বিয়েটা করেছি, এঁরা তো বয়ফ্রেন্ড জোগড় করতে পারেননি।'
মানালির কথায়, তাঁর স্বামী অভিমন্যুর কোনও প্রতিক্রিয়াই নেই, ও আবার কী করে রোম্যান্টিক হবে! তাই দুজনের মধ্যে তিনিই বেশি রোম্যান্টিক। মানালির কথায়, ‘ভুলে যায় বলেই অভিমন্যু ডেট ভুলে যায় বলেই ১৫ অগস্ট বিয়ে করেছেন। আমার তো মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হয়নি। এর থেকে দুঃখের কথা কীইবা হতে পারে। একটা মেয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটালো না, বরের সঙ্গে হাত ধরে সমুদ্র দেখলো না, তাহলে ফ্যামিলি প্ল্যানিং হবে কীভাবে!’ মানালি জানান, ‘দুজনের কোনওভাবেই সময় মিলছে না। আমি ফাঁকা থাকলে ও থাকে না, ও থাকলে আমি থাকি না। আর একটু সময় পেলে বলে, ওই তো বোলপুরে তোর বাড়ি আছে, ওখানে চল।’
অভিনেত্রী মানালি দে, দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চেই বর অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়কে একপ্রকার হুমকি দিয়েই বলেন, ‘আমি যদি এবছরের মধ্যে মধুচন্দ্রিমায় না যাই, তাহলে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে চলে যাবো’।
প্রসঙ্গত, অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানালির এটা দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগে ২০১২-র ২৯ নভেম্বর গায়ক সপ্তক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মানালি দে। বেশ কয়েক বছর সংসার করার পর ২০১৬-তে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। শোনা গিয়েছিল সপ্তকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভেঙে পড়েছিলেন মানালি, পরে ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক থেকে বের বয়ে আসেন।