Nabanita-Jeetu: জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের মাঝেই নতুন শুরুর ইঙ্গিত নবনীতার, কার হাত ধরলেন?

Nabanita Das to star in Rana Sarkar's film? ডিভোর্স চর্চার মাঝেই প্রযোজক রানা সরকারের সঙ্গে মিটিং সারলেন নবনীতা। জিতুর পর এবার বড় পর্দার পথে পা বাড়াচ্ছেন অভিনেত্রী? মুখ খুললেন জিতুর ‘অর্ধাঙ্গিনী’।

এবার বড়পর্দায় বিগ ব্রেক নবনীতার 

ঘর ভাঙছে জিতু-নবনীতার। ছাদ আলাদা হয়েছে আগেই, অপেক্ষা ডিভোর্স পেপারে আইনি সিলমোহরের। গত মাসের শেষে বিয়ে বিচ্ছেদের কথা সামনে আনেন নবনীতা। তারপর থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনার শেষ নেই। এর পাশে শ্রাবন্তীর সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছেন জিতু, সেখানে নতুন ছবির শ্য়ুটিংয়ে ব্যস্ত তিনি। ওদিকে ‘বিয়ের ফুল’ নিয়েই কাটছে নবনীতার দিন।

‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর পর মা তারা সান বাংলার এই মেগার সঙ্গেই দীর্ঘ সময় পর ছোটপর্দায় ফিরেছেন। নবনীতার ব্যক্তিগত জীবন যখন টালমাটাল তখনই নতুন শুরুর ইঙ্গিত মিলল। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রযোজক রাণা সরকারের সঙ্গে একফ্রেমে ধরা দিলেন নবনীতা। তারপর থেকেই জল্পনা তবে কি রাণার হাত ধরে এবার বড়পর্দায় নবনীতা? স্বামীর পদচিহ্ন কি তিনিও অনুসরণ করবেন?

এই ব্য়াপারে এক সংবাদমাধ্যমকে নবনীতা জানান, ‘ওঁনার অফিসে গিয়েছিলাম। সিনেমায় কাজের অফার পেয়েছি। তবে চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। আগামিতে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সকলে জানতেই পারবে’। একই সুর রাণার গলায়। আনন্দবাজারকে তিনি জানান, ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ সিরিয়ালে মা তারার চরিত্রে নবনীতার অভিনয় মনে দাগ কেটেছে। তেমনই কোনও চরিত্রের জন্য নবনীতাকে কাস্ট করবার কথা ভাবছেন প্রযোজক। তাঁর কথায়, ‘নবনীতাও বলেছে যদি ব়ড় পর্দায় ভাল চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পায়, তা হলে ছোট পর্দায় কাজ করা কমিয়ে দেবে। পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে নতুন একটি ছেলে। নামটা এখনই বলছি না।’ যদিও আপাতত রাণার পাখির চোখ ‘মীরজাফর চ্যাপ্টার ২’। শীঘ্রই এর শ্যুটিং শুরু করবেন।

রাণার সঙ্গে নবনীতার নিজস্বী (ছবি-ফেসবুক)

গত বছর অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’ ছবিতে কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন জিতু, এরপরই বদলে যায় তাঁর ভাগ্য। আপতত ছোট পর্দা ছেড়ে পাকাপাকিভাবে রুপোলি পর্দাতেই মন দিয়েছেন তিনি। জিতু-নবনীতার ডিভোর্সের খবর সামনে আসবার অনেকেই জিতুকে কটাক্ষ করেছিলেন। সাফল্য পেয়ে মাথা ঘুরে গিয়েছে নায়কের, এমন মন্তব্যে ছয়লাপ ছিল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, আবার অনেকে শ্রাবন্তীর সঙ্গ দোষকেও ডিভোর্সের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তবে গোটা বিতর্কে স্বামীর পাশেই নবনীতা।

অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘জিতুর সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, হঠাৎ করে সাফল্যের মুখ দেখে ওর ঔদ্ধত্য বেড়ে গিয়েছে- সেটা ঠিক নয়। ও যখন সাফল্য পাচ্ছে আমি ওর পাশেই ছিলাম। আমি যখন নতুন কাজ শুরু করলাম (বিয়ের ফুল), আমি জিতুর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছি। জিতুর মধ্যে কোনও বদল আসেনি (সাফল্যের মুখ দেখেও), বাড়িতে সময় দেওয়াটা কমেছিল হয়ত। প্রফেশন্যাল ইগো আমাদের মধ্যে কোনওদিন আসেনি’। অন্যদিকে শ্রাবন্তী প্রসঙ্গে নবনীতা বলেন, 'অনেক জায়গাতেই শ্রাবন্তীদিকে নিয়ে আমি জিতুর নাম জড়াতে দেখছি, কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। এগুলো একদম ঠিক নয়। আমি এতে আশাহত হয়েছি। শ্রাবন্তীদির সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। লন্ডনে যখন আমি গিয়েছিলাম ওর সঙ্গে বসে চিপস খেয়েছি, গল্প করেছি, আড্ডা মেরেছি। যা রটছে তা ঠিক নয়’।