যুবতী ঐশ্বর্য রাইয়ের মুক্তো ঝরা হাসিতে উজ্জ্বল নেটপাড়া। নীল নয়না সুন্দরীর রূপের জাদুতে গত তিন দশক ধরে বুঁদ গোটা বিশ্ব। আক্ষরিক অর্থেই তিনি বিশ্ব সুন্দরী। ১৯৯৪ সালে 'বিশ্ব সুন্দরী'-র খেতাব জিতে রাতারাতি খ্যাতির লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন ঐশ্বর্য রাই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ঐশ্বর্যর একটি অদেখা ছবি, যা শেয়ার করে নিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার রীতু কুমার।
ছবিতে বাদামি রঙা ওভারসাইজ শার্ট পরে দাঁড়িয়েছেন অ্যাশ, তাঁর গলায় ঝুলছে একটা স্কার্ফ। অন্যদিকে আজকের অন্যতম নামী ফ্যাশন ডিজাইনার রীতু কুমার পরে রয়েছেন সাদা একটি শার্ট, সঙ্গে চুরি, ঝোলা দুল। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আমাদের কারাবাগ কালেকশনের একটি প্রিন্টেট পোশাক পরে ঐশ্বর্য, নব্বইয়ের দশকের মাঝ বরাবরের ছবি'। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুগ্ধ ঐশ্বর্যর সৌন্দর্যে, অভিনেত্রীর থ্রো-ব্যাক ছবিতে বরাবরই মন হারায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিন কয়েক আগেই প্রয়াত কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের কন্যা সুকাইনা নাগপাল ঐশ্বর্যর সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ অ্যাশ দি তুমি যেরকম মানুষ ঠিক সেইরকম হওয়ার জন্য’।
একটা সময় দাপটের জন্য বলিউডে কাজ করেছেন ঐশ্বর্য। কখনও বনশালির পারো কখনও যোধা বাঈ রূপে রুপোলি পর্দায় তাঁর উপস্থিতি ম্যাজিক তৈরি করেছেন। আবার কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনই বিয়ের পর্ব সেরেছেন অ্যাশ, মাতৃত্বকে আলিঙ্গন করে গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে নিয়েছেন দীর্ঘ বিরতি।
২০১৮ সালে শেষবার রুপোলি পর্দায় দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্যকে। শীঘ্রই মনি রত্নমের তামিল ছবি, পুণ্যিয়ানি সেলভান (Ponniyin Selvan) দিয়ে পর্দায় কামব্যাক করছেন ঐশ্বর্য রায় বচ্চন। ছবিতে নন্দিনী এবং তার মা মান্ধাকিনীর দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য। ফের একবার ‘গুরু’, ‘বারণ’ পরিচালকের ছবিতে প্রাক্তন বিশ্বসু্ন্দরীকে দেখতে মুখিয়ে রয়েছে দর্শক।