অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। তবে আবু ধাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির হলেন অক্ষয় কুমার। এই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেল বিবেক ওবেরয়, গ্র্যামি বিজয়ী শঙ্কর মহাদেবন সহ আরও কিছু ভারতীয় তারকাকে।
সংবাদ সংস্থা ANI-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির BPS হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে হাজির হতে দেখা যায় অক্ষয়কে। এদিন অক্ষয়ের চারপাশে ছিল কড়া নিরাপত্তা বলয়। অনুষ্ঠানে হালকা কুর্তা পরে উপস্থিত হয়েছিলেন অক্ষয়। তবে আবু ধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে দেখা যায়নি অক্ষয়কে। প্রশ্ন এড়িয়ে আক্কি সোজা মন্দিরে প্রবেশ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-এ আবু ধাবির এই মন্দিরের নির্মাণকাজ চলাকালীনও সেখানে পৌঁছেছিলেন অক্ষয়। সেসময় মন্দির নির্মাণের জন্য ইটও স্থাপন করেন অক্ষয়। জানা গিয়েছিল ওই মন্দিরে বসেছে রাজস্থানি পাথর, ইতালিয়ান মার্বেল। মন্দিরের নকশা দেখে সেসময় মুগ্ধ হন অক্ষয়। প্রসঙ্গত এই মন্দির প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছিলেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। ৫৫ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। মধ্যপ্রাচ্যে এটাই ছিল প্রথম হিন্দু মন্দির।
অক্ষয় এই মুহূর্তে আলি আব্বাস জাফরের অ্যাকশন কমেডি ছবি ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’র শুটিং করছেন। এমনকি ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন আক্কি তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে তার সহ-অভিনেতা টাইগার শ্রফের সঙ্গে অ্যাকশন স্টান্ট করার একটা ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে মজা করে লিখেছেন, ‘এই ভালোবাসা দিবসে রোম্যান্সের উপর রোম্যান্স (মুষ্টিবদ্ধ করার ইমোজি)’। এই পোস্টে অক্ষয়ের স্ত্রী এবং লেখক টুইঙ্কল খান্না ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে রসিকতা করে লিখেছেন, অক্ষয় এমন একজনের সঙ্গে এই বিশেষ দিন কাটাচ্ছেন যাঁকে তিনি তাঁর (স্ত্রী টুইঙ্কল) চেয়েও বেশি ভালবাসেন।
গত মাসে (জানুয়ারি) উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন জর্ডনে ছবির শুটিং করছিলেন অক্ষয়। সেকারণে তিনি অযোধ্যায় সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁর জর্ডানের সেট থেকেই ‘রাম!’ স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি আবু ধাবির মন্দির উদ্বোধনে গিয়ে শঙ্কর মহাদেবন বলেন, 'ভারত সহ সারা বিশ্বের সমস্ত ভারতীয়দের জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের মুহূর্ত। এটা আমাদের জীবনের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত যেখানে আমরা আবু ধাবির মতো ভূমিতে এমন একটা মন্দির দেখতে পাচ্ছি, যা এত সুন্দর। একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই এটা কার্যকর করতে পারেন।
অভিনেতা দিলীপ যোশী বলেন, ‘এটা দেখার পরও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে এখানে এত সুন্দর বিএপিএস মন্দির নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তখনও আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম। দুবাইয়ের শাসক বড় হৃদয়ের অধিকারী, তাঁরা জমি দিয়েছেন এবং এই মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। এই মন্দির থেকেই সম্প্রীতির বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রার্থনা করি।’