অভিনেত্রী আলিয়া এফের সঙ্গে ঈশ্বরী ঠাকরের সম্পর্কে গুঞ্জন ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায় বলিউডে। মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে চর্চিত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ঈশ্বরী, বাল ঠাকরের নাতি সে। ঈশ্বরীর কথায় সে এবং আলিয়া দুজনে পারিবারিক বন্ধু, এর থেকে বেশি কিছু নেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানিয়েছেন, ঈশ্বরীর সঙ্গে একসঙ্গে ছবি তুলতে প্রথমে তিনি রাজি হননি। কারণ, তাঁর মনে ভয় ছিল সেই ছবি থেকে পরে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলায়া জানিয়েছেন, ‘ঈশ্বরী আমার ভালো বন্ধু। এটা শুনতে একটু খটকা লাগবে তবে আমাদের দুজনের পরিবার সূত্রে খুব ভালো বন্ধুত্ব। আমার মা ওর মাকে খুব ভালো করে চেনে। আমার ঠাকুরদাদের সঙ্গেও ওদের পরিবারের খুব ভালো সম্পর্ক। আমরা এক অপরকে বহুদিন ধরে চিনি। এখন মিডিয়া আমাদের একসঙ্গে ছবি দেখতে পেয়ে অনেক কিছু কল্পনা করে নিয়েছে। কিন্তু আমরা একে অপরকে বহুদিন ধরে চিনি। আমরা একসঙ্গে অভিনয় এবং নাটক শিখেছি বহুদিন ধরে; যদি পাপারাৎজিরা আরও আগে থেকে আমাদের ছবি তুলতেন তবে আরও ছবি থাকত। আমরা একসঙ্গে ছবি তুলি; আমার ওকে বেশ মজাদার লাগে’।
আলিয়ার কথায়,‘যখন পাপারাৎজিরা ছবি তুলেছিল, আমি বুঝতে পেরেছিলাম কী হতে চলেছে। তবে এটা আমার কাছে বেশ মজাদার একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আমরা যখনই কোথাও যাই বেরোনোর সময় দেখি অনেক চিত্র সাংবাদিকেরা দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য, একসঙ্গে পোজ দিতে বলে, তবে আমি হাসি মুখে বেরিয়ে আসি সেখান থেকে। কারণ এটা পরে আমার আরও সমস্যা হতে পারে বলে মনে হয়’।
প্রসঙ্গত, গত বছর দুবাইতে এসভরি ঠাকরের জন্মদিন পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন আলিয়া। সেখানে ঈশ্বরীর মা স্মিতা ঠাকরে জন্মদিন উদযাপনের বেশ কিছু মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ক্যাপশনে আলায়ার নামও উল্লেখ করেন স্মিতা। যা দুজনের প্রেম সম্পর্কের জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলে দেয়।
আলিয়ার বলিউড ডেবিউ ছবি ‘জাওয়ানি জানেমান’এর প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরী ঠাকরে। এছাড়া আলায়ার ২২ বছরের জন্মদিন পার্টিতে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁর চর্চিত প্রেমকিকে।
বাল ঠাকরের বড় ছেলে তথা মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দাদা জয়দেব ঠাকরে ও স্মিতা ঠাকরের ছোট ছেলে ঈশ্বরী। যদিও জয়দেবের সঙ্গে ২০০৪ সালেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয় স্মিতার। ছেলে জয়দেবের সঙ্গে জীবদ্দশাতেই সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন বালাসাহেব ঠাকরে। তবে পুত্রবধূ স্মিতা এবং তাঁদের দুই সন্তান বরাবর বালাসাহেবের ‘মাতশ্রী’তেই থেকেছেন।