কাঙ্খিত পরিণতি পায়নি সুশান্ত-অঙ্কিতার প্রেম কাহিনি। সাত বছরের প্রেমের কাহিনিতে ইতি টেনে আলদা পথ বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে ব্রেক-আপের চার বছরের মধ্যে দুনিয়া ছেড়েই চলে যাবেন সুশান্ত, তা দুঃস্বপ্নের ভাবেননি অঙ্কিতা। ব্রেক আপের পর লম্বা একটা সময় ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অঙ্কিতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তেমনটাই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সুশান্তের সঙ্গে সুখে সংসারের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেই জন্য নিজের কেরিয়ারও বিসর্জন দিয়েছেন। অভিনেত্রী সম্প্রতি জানান, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এর মতো ছবির অফার হেলায় ফিরিয়েছেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে ভিকি জৈনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ অঙ্কিতা। তবে সুশান্তের স্মৃতি কোনওদিনই মুছে ফেলেননি নায়িকা। সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া চক্রবর্তী থেকে তাঁর বন্ধুরা, এমনকি সুশান্ত ভক্তদেরও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অঙ্কিতা। সুশান্তের মৃত্যু কীভাবে অঙ্কিতাকে প্রভাবিত করেছে, সেই নিয়ে মুখ সম্প্রতি বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মুখ খুলেছেন প্রয়াত তারকার প্রাক্তন।
গত বছর ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার মাউন্ট ব্লাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। অভিনেতার শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন না অঙ্কিতা, সেই নিয়েও কম ট্রোলড হননি তিনি। সুশান্তের মৃত্যুর দু-দিন পর মুম্বইয়ে সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছান অঙ্কিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
অঙ্কিতা জানিয়েছেন, তাঁর আজও হিম্মত নেই সুশান্তের ছবির পাশে ‘RIP’ শব্দটা জুড়ে দেওয়ার। ‘মানুষজন আমাকে বিচার করছে কেন আমি ওইদিনই ওর সঙ্গে কোনও ছবি পোস্ট করিনি, আপনারা কী আশা রাখেন? যখন নিজের কেউ মারা যায়, তখন কী কেউ ছবি আপলোড করে? হয়ত আপনি বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু আজ পর্যন্ত সুশান্তের কোনও ছবিতে আমি ‘RIP’ লিখতে পারিনি, আমার হিম্মত নেই ওইরকম কিছু লেখবার। কারণ আমি বলতেই পারব না, ‘রেস্ট ইন পিস সুশান্ত’।
অঙ্কিতার কথায়, সুশান্তের পরিবার এবং তাঁর পরিবার বহু কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, অভিনেতার মৃত্যুর পর। ‘সুশান্তের চলে যাওয়ার বোঝাটা আমাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তবে এখন এমন একটা সময় এসেছে যে আমি নর্ম্যাল রয়েছি। কিন্তু আমাদের- ওর পরিবার, আমার পরিবারকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। গোটা দুনিয়ায় ওর জন্য কাঁদছে। এবং কখনও কখনও আমার মনে হয় আমি ওর সঙ্গে কথা বলছি। গতকালই একজন মহিলা আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল ওর কথা স্মরণ করে। সেদিনই ওকে (সুশান্ত) বলছিলাম, 'মানুষজন তোমাকে কত ভালোবাসে, এখন ভালোবাসে’।