না-ফেরার দেশে আরমান মালিকের ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা মালিক পরিবারে। রবিবার রাতে প্রয়াত হলেন সংগীত শিল্পী অনু মালিকের মা বিলকিশ মালিক। একই সঙ্গে মাতৃ-হারা হলেন তাঁর আরও দুই পুত্র আবু মালিক, ডাবু মালিক। ‘দাদিজান’-এর মৃত্যুর ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন বার্তা লেখেন আরমান ও আমাল মালিক।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, সপ্তাহখানের আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিলকিশ মালিক। এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে যুদ্ধ চালাচ্ছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
দাদির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন আরমান। ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে আজ হারিয়ে ফেললাম। আমার দাদিজান। এই ক্ষতি কখনওই পূরণ হবার নয়। যে শূন্যতা তিনি তৈরি করে দিয়ে গেলেন তা শূন্যই থেকে যাবে আজীবন’। আরমান আরও লেখেন, ‘আমি ভাগ্যবান জীবনের অনেকটা সময় তোমার সঙ্গে কাটাতে পেরেছি। তোমার ভালবাসা, আদর, চুমু… সব পেয়েছি। আল্লাহ, আমার এঞ্জেন এখন তোমার আশ্রয়ে’।
আরমানের দাদা, আমাল মালিকের পোস্টেও ঠাকুমাকে হারানোর যন্ত্রণা ফুটে উঠেছে। তিনি লিখেছেন, ‘তুমি চেয়েছিলে তোমার স্বামীর পাশেই যেন তোমায় সমাধিস্থ করা হয়। তা করতে পারা গিয়েছে। যখন তোমায় ছেড়ে বেরলাম, তখন বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছিল… আমি আকাশের দিকে তাকালাম, একটু হাসলাম আর অনুভব করলাম যেখানে তুমি যেতে চেয়েছিলে অবশেষে সেখানেই তুমি পৌঁছে গিয়েছ। ….আমাদের মধ্যেই তুমি থেকে যাবে’।
সোমবার সকালে সান্তক্রুজ কবরস্থানে গোরস্থ করা হয়েছে বিলকিশ মালিককে। বিখ্যাত মিউজিক কম্পোজার সর্দার মালিকের স্ত্রী বিকলিশ মালিক।