চলতি মাসের শুরুতেই বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সে দেশের দুই মডে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ। মাদক মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তারপর তদন্তে মরিয়ম আক্তার মৌ-র নামে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ১ অগস্ট রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করা হয়। মৌ-এর ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মদ।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরে বেআইনে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের নজরে ছিল পিয়াসা। প্রথমে তাঁকেই গ্রেফতার করা হয় মাদক মামলায়। তারপর পিয়াসার বয়ানে উঠে আসে মৌ-র নাম। পিয়াসা জানিয়েছে, ৫০ জনেরও বেশি মেয়ে কাজ করত মরিয়ম আক্তার মৌ-র আন্ডারে। যাদের কাজ ছিল ধনীব্যক্তিদের টার্গেট করে পার্টি করার নাম করে বাড়িতে ডেকে আনা। তারপর তাঁদের সঙ্গেই অন্তরঙ্গ হওয়া। পরবর্তীতে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করত মৌ।
বাংলাদেশি মডেল মৌ-এর ব্যক্তিগত জীবনও বেশ রঙিন। মোট ১১টি বিয়ে করেছেন। ধনী ব্যক্তিদের বিয়ে করা ও সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়াই ছিল তাঁর নেশা। বাংলাদেশের মোহাম্মদপুরে পাঁচতলা বিশাল বাড়ি রয়েছে তাঁর। সঙ্গে নামী ব্র্যান্ডের তিনটি দামি গাড়ি। আপাতত মৌয়ের সঙ্গে কোনও ভিআইপি-র যোগ রয়েছে কি না এই মাদক ও ব্ল্যাকমেল মামলায়, সেটাই খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ পুলিশ।